শান্তর অপরাজিত সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনটি বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের

দিন শেষে সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান

আগেরদিন নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলছিলেন, ‘(নাজমুল হোসেন) শান্তকে আমাদের পরবর্তী সম্ভাবনা হিসেবে চিন্তা করেছিলাম। সে খেলেছেও অনেক জায়গায় কিন্তু প্রত্যাশা মতো ভালো করতে পারেনি।’ নাজমুল নির্বাচকদের রাডারে ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই। তিনটি ওয়ানডে আর দুটি টেস্টের জন্য জাতীয় দলের হয়ে ড্রেসিংরুমে ঠাঁই হয়েছিল তাঁর। তবুও জায়গাটা পোক্ত করতে পারেননি। নাজমুল অবশ্য থেমে নেই। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে আজ ঝলমলে একটা ইনিংস এল তাঁর ব্যাট থেকে।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কান ইমার্জিং দলের বিপক্ষে নাজমুলের অপরাজিত ১২৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যে দিনটা হাসিমুখে শেষ করতে পেরেছে বাংলাদেশের উদীয়মানরা। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের স্কোর ৪ উইকেটে ২৩৩ রান।

মঙ্গলবার সকালের ফ্লাইটে যশোর হয়ে খুলনা গেলেন জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। জাতীয় দল রাজধানী ঢাকায় আফগানিস্তানের সাথে একমাত্র টেস্টের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। কোথায় শেরে বাংলায় সাকিব, মুশফিক আর রিয়াদদের প্র্যাকটিস পাখির চোখে পরখ করবেন; তা না, অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার খুলনায়!

কেন? উত্তর খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে? তাহলে শুনুন, ২৭ আগস্ট থেকে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে এইচপির তরুণদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ ইমার্জিং ও শ্রীলঙ্কার ইমার্জিং একাদশের চার দিনের ম্যাচ। এই ম্যাচের জনা দুই বা তার বেশি ক্রিকেটারের ওপর চোখ রাখতে হচ্ছে নির্বাচকদের। তবে একজনের ওপর দৃষ্টিটা বিশেষভাবে আবদ্ধ নির্বাচকদের। তিনি সাইফ হাসান।

ওয়ানডেতে ১-২’এ সিরিজ হারা স্বাগতিক ইমার্জিং দলের হয়ে একটি সেঞ্চুরি (১১৭) আর হাফ সেঞ্চুরি (৫৫) করা সাইফের ব্যাটিং দেখতেই আসলে খুলনায় উড়ে গেলেন হাবিবুল বাশার; কিন্তু চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিন প্রথম ইনিংসে ভাল ব্যাট করতে পারেননি সাইফ। ফিরে গেছেন মাত্র ১৮ রানে। তবে সাইফ রান না পেলেও দারুণ খেলেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ইমার্জিং দলের অধিনায়ক। তার অপরাজিত সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ইমার্জিং একাদশের রান গিয়ে ঠেকেছে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৩-এ।

দীর্ঘ সময় উইকেটে থেতে ৯৩ বলে তিনবার সীমানার বাইরে বল পাঠিয়ে ১৮ রান করে রান আউট হয়েছেন সাইফ। তার সাথে ওপেন করা নাঈম শেখও রান পাননি। এ ড্যাশিং ওপেনার আউট হয়েছেন ৮ রানে। শুধু সাইফ ও নাঈম শেখই নন। ৩০ বলে ৪ রান করে ফিরে এসেছেন আরেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী রাব্বি। ৯৫ রানে তিন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে স্বাগিতক দল যখন ধুঁকছিল, ঠিক তখন হাল ধরেন শান্ত।

এ সময় তাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বাঁ-হাতি আফিফ হোসেন ধ্রুব। চতুর্থ উইকেটে শান্ত আর আফিফ মিলে যোগ করেন ৯৯ রান। আর তাতেই বাংলাদেশ শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে। আফিফ ১০৮ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৪ রানে ফিরলেও শান্ত দিন শেষে অপরাজিত আছেন ১২৪ রানে (২৩৯ বলে ১২ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়)। সঙ্গে আছেন জাকির হাসান (৪৩ বলে ৯*) ।

লঙ্কান বোলারদের মধ্যে বাঁ-হাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলার কালানা পেরেরা আর দুই অফ-স্পিনার নিশান পেরিস ও রমেশ মেন্ডিস প্রত্যেকে একটি করে উইকেট দখল করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!