রুমায় অপহৃত ৬ পাহাড়ির বিনিময়ে দুজনকে চায় ‘মগ পার্টি’

ছয় পাহাড়ি গ্রামবাসী অপহরণের শিকার হয়েছে বান্দরবানের রুমা উপজেলায়। তাদের অপহরণের সময় একদল অস্ত্রধারী এলাকার লোকজনকেও মারধর করেছে। অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযানে নেমেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সামাখাল পাড়া গিয়ে সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমার খোঁজ করে। তাকে না পেয়ে ছয় পাহাড়ি গ্রামবাসীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ১২-১৩ জনের একটি সশস্ত্র দল। অপহৃতরা হলেন মংহ্রিঅং মারমা (৪৫), উগামং মারমা (৫০), মংগেইং মারমা (৩২), সিংথোয়াই মং মারমা (৩২), প্রুসিঅং মারমা (৪৩) ও থোয়াইহ্লাচিং মারমা (৫৬)।

এ ঘটনার পর সামাখাল পাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে এলাকার বেশিরভাগ মানুষ আশেপাশের বিভিন্ন পাড়ায় আশ্রয় নেয়।

এলাকাবাসীর কয়েকজন জানান, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘মগ লিবারেশন পার্টির’ (স্থানীয়ভাবে মগ পার্টি নামে পরিচিত) নামে কয়েকজন সামাখাল পাড়ায় এসে মুরগি ও চাল দাবি করেছিল। পরে গ্রামবাসী বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান শৈমং মারমা ও কারবারী বা গ্রামপ্রধান উহ্লাচিং মারমার খোঁজে আসে। এ দুজনকে তাদের হাতে তুলে দিলে ছয় গ্রামবাসীকে ছেড়ে দেবে বলে জানিয়েছে তারা।

এর আগে ১৯ আগস্ট রুমা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রুমা-মুন্নুয়াম সড়কের মিনঝিড়ি পাড়া রাস্তার মুখ থেকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তিন জিপচালককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মুক্তিপণ নিয়ে চারদিন পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এরা হলেন বাসু কর্মকার, নয়ন জলদাস ও মো. মিজান।

এর আগে ৫ আগস্ট ৩০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে রুমা জিপ মালিক সমিতির কাছে চিঠি দেয় ‘মগ লিবারেশন পার্টি‘। ৮ আগস্টের মধ্যে চাঁদা পরিশোধের কথা উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে। কিন্তু ঈদের কারণে ব্যস্ত থাকায় সন্ত্রাসীদের ওই চিঠির গুরুত্ব দিয়ে নেয়নি মালিক সমিতি। পরে ১৯ আগস্ট অপহরণের ঘটনা ঘটে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!