ময়লায় কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটি যে নামে বড় হবে

বায়েজিদের ময়লাস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া ফুটফুটে সেই নবজাতকের নাম রাখা হচ্ছে সায়রা খাতুন। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে পরিচয়হীন এ শিশুর নামকরণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মায়ের নামে। রৌফাবাদের ছোটমনি নিবাসে ভালো আছে শিশু সায়রা। সেখানে সার্বক্ষণিক তার দেখাশোনা করছেন চিকিৎসকরা। তার স্বাস্থ্যের বিষয়েও খেয়াল রাখা হচ্ছে। এদিকে সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে শিশুটিকে দেখতে যান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক ও বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।

বিজয় বসাক বলেন, ‘মুজিববর্ষের প্রাক্কালে আমরা শিশুটিকে পেয়েছি। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামেই তার নাম প্রস্তাব করেছি সায়রা খাতুন। যদি সবার ভালো লাগে তাহলে নামটি থাকবে। শিশুটির প্রকৃত অভিভাবকের সন্ধানে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আমরা শিশুটির অভিভাবকের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছি। তবুও আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে অনুরোধ করবো শিশুটির পিতামাতা যেন আমাদের সাথে যোগাযোগ করে।’

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার বলেন, ‘আজ শিশুটিকে দেখতে গিয়েছিলাম। শিশুটি ভালো আছে। আমরা তাকে সার্বক্ষণিক যত্নে রাখতে অনুরোধ করেছি। শিশুটির মা-বাবারও সন্ধান করছি।’

ময়লায় কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটি যে নামে বড় হবে 1

রৌফাবাদের ছোটমনি নিবাসের কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামের বায়েজিদের পশ্চিম শহীদ নগর ওয়েল মিল জিসি ফ্যাক্টরির পাশে ময়লার স্তূপে পরিত্যক্ত অবস্থায় রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে বায়েজিদ থানা পুলিশ। পরে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকার ফলে শিশুটির সামান্য ঠান্ডাজনিত সমস্যা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে চট্টগ্রাম সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের অধীনে ছোটমনি নিবাসে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে গত বছরের আগস্টে কুড়িয়ে পাওয়া তিন শিশুর নাম রাখা হয়েছে। রোকেয়া রওনক, আদিল আদনান, ও জয়নাব জেরিন। এদের মধ্যে শিশু রোকেয়া রওনককে গত ৩১ অক্টোবর দত্তক নিয়েছে এক নিঃসন্তান দম্পতি। ছোটমনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক নূরুন নাহার জান্নাতী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, বর্তমানে ছোটমণি নিবাসে মোট ৩৪জন শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে মেয়ে শিশু ১৪ এবং ছেলে শিশু ২০ । এছাড়াও প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে ১৫ জন।

এএ/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!