বাকলিয়ার অপহৃত ৪ কিশোর দেড় মাস পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার টেকনাফে

চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মায়ানমার পাচার

অপহরণের ৫৬ দিন পর টেকনাফ থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বাকলিয়ার চার কিশোরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় অপহরণে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্ব) ভোরে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার লম্বরী ঘাট এলাকায় সমুদ্রের পাড়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাদের ফেলে যায় অপহরণকারীরা।

এর আগে গত ২ আগস্ট চাকরির কথা বলে রাত ৮টার দিকে বাকলিয়া এলাকা থেকে আনসারুল করিম (১৬), মনির (১৩), আজিজুর রহমান (১৬) ও মজিবুর রহমানকে (১৭) অপহরণ করা হয়।

এই ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ অপহরণকারী হলেন আব্দুল করিম জীবন (১৯), মো. হাসান ওরফে হাকিম বাদশা (২২), মেহেদী হাসান (২৭), মো. হারুন (৩৭) ও নুরুল হক (৪৫)।

জানা গেছে, ট্রলারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চার কিশোরকে নিয়ে গিয়ে পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেন মো. হারুন (৩৭)। হারুন টেকনাফের পলাতক আসামি সাইফুল ইসলাম সাবুর কাছে টাকার বিনিময়ে চারজনকে পৌঁছে দেন। এরপর সাবু চার কিশোরকে এলাকার আরো অজ্ঞাত পাচারকারীদের সহায়তায় মোটা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমারের সামিলা শহরে জোবায়ের নামের এক ব্যক্তির নিকট পাচার করে দেন।

জোবায়ের বিভিন্ন নম্বর থেকে কিশোরদের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। সাবু ও অজ্ঞাত পাচারকারীদের ধরতে এবং কিশোরদের উদ্ধারে পুলিশ একাধিকবার টেকনাফে অভিযান চালায়। এই ঘটনা আঁচ করতে পেরে বুধবার চার কিশোরকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় টেকনাফের সমুদ্র উপকূলে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‘চার কিশোর অপহরণের পর মো. আব্দু শুক্কুর নামের এক ব্যক্তি বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানার শাপলাপুর এলাকা, কক্সবাজার কুতুবদিয়া পাড়া, টেকনাফে অভিযান পরিচলনা করা হয়েছে। পরে বুধবার ভোরে চার কিশোরকে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসাপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। মিয়ানমারের জোবায়ের কিশোরদের টাকার জন্য মারধর করতো বলে জানা গেছে।’

আরএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!