প্রেম নয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বেই এমইএস কলেজে সানি হত্যা!

চট্টগ্রাম নগরীর এমইএস কলেজের সামনে জাকির হোসেন সানিকে হত্যা করা হয়েছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে—এমনটা নিশ্চিত তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে ফয়সাল ও সাব্বির নামের এজহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ফয়সাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। সাব্বিরকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এজাহারভুক্ত আসামি ফয়সাল আলমকে টাইগারপাস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল জানিয়েছেন আয়াতুল হক চৌধুরীর হাতে ছুরি ছিল এবং আয়াতই প্রথমে জাকির হোসেন সানিকে ছুরিকাঘাত করেন। এরপর আনিসসহ আরো কয়েকজন সানিকে আঘাত করে। তদন্তের স্বার্থে অন্যদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

বুধবার (২৮ আগস্ট) ফয়সাল আলম মহানগর মূখ্য হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান ওসি প্রণব চৌধুরী। তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার অপর আসামি সাব্বিরকে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে এমইএস কলেজের সামনে ইক্যুয়িটি অতিথি ভবনের সামনে ছুরিকাঘাতে খুন হন জাকির হোসেন সানি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সানির বড় বোন মাহমুদা আক্তার বাদি হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে খুলশী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন সৌরভ, সাফায়াত, রবিউল, তূষার, আনিস, আয়াত ও মামুন। ঘটনার দিন সৌরভ ও সাফায়াতকে আটক করেছিল পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পাশাপাশি প্রেমঘটিত বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। তবে পুলিশ স্পষ্টই জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড প্রেমঘটিত নয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকেই ঘটনা হয়েছে। রোববার এজাহারভুক্ত আসামি আনিস ও তার অনুসারীদের সাথে সানিদের কথা কাটাকাটি এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

আনিস, আয়াতরা ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রসংসদের জিএস আরশাদুল আলম বাচ্চুর অনুসারী। নিহত জাকির হোসেন সানি ও তার সহযোগীরা ভিপি ওয়াসিম উদ্দিনের অনুসারী।

নিহত সানি অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দীনের শ্যালক। সোমবার সানি নিহত হওয়ার পর সিআইডির একটা টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!