পটিয়ায় ঘর পাচ্ছে ১১৫ পরিবার

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ১১৫টি পরিবার পাচ্ছে জমিসহ ঘর। ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় এসব ঘর ো জমি দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব পরিবারের কাছে ঘর হস্তান্তর করবেন।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ দেওয়া ছাড়াও এসব পরিবারকে ঋণদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা ও আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন মুজিববর্ষে কোনও মানুষ গৃহহীন থাকবে না। প্রতিটি পরিবারকে আলাদাভাবে ঘর করে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন। করোনার মধ্যে ছয়মাসেরও কম সময়ে এসব ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

পটিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, ঘর নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে সরকারি খাস জমি। এসব জমির বেশ কিছু অবৈধ দখলদার ছিল সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। সরকারি জমি উদ্ধার করে জনকল্যাণে ব্যবহার হচ্ছে।

তিনি জানান, এসব ঘরে সুপেয় পানি ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসব ঘরের বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের জন্য আশপাশে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, দেশব্যাপী নির্মিত এসব বাড়ির জন্য উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। সে কমিটি নিজেরা নির্মাণসামগ্রী কিনে ঘর তৈরি করছে। সাধারণভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও দরপত্রের মাধ্যমে কাজ করা হলেও এটি তদারক করছেন সরাসরি স্থানীয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা। প্রথম পর্যায়ে ৬৬ হাজার পরিবারকে ঘর দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে আগামী এক মাসে ঘর পাবে প্রায় এক লাখ পরিবার। এটি চলমান থাকলে আগামী দুই বছরের মধ্যে সবাইকে ঘর দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করতে পারবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

পটিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি ঘরে দু’টি শয়ন কক্ষ, একটি টয়লেট, একটি রান্নাঘর ও একটি লম্বা বারান্দা থাকবে। প্রতিটি পরিবারকে দুই শতাংশ জমি স্বামী-স্ত্রী দু’জনের নামেই রেজিস্ট্রি ও নামজারি করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে একটি সনদ দেওয়া হচ্ছে। ঘরগুলো এমন জায়গায় করা হয়েছে যাতে তার জীবনধারণের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!