তালসরা দরবারের টাকা লুটঃ ৪ র‌্যাব কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

তালসরা দরবারের টাকা লুটঃ ৪ র‌্যাব কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন 1নিজস্ব প্রতিবেদক : আনোয়ারা তালসরা দরবার শরীফের দানবাক্সের ২ কোটি ৭ হাজার টাকা লুটের ঘটনায় র‌্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (চাকরিচ্যূত) জুলফিকার আলী মজুমদারসহ ৪ র‌্যাব কর্মকর্তা ৩ সোর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম ৫ম অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরে আলমের আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবি ব্যরিস্টার মোহাম্মদ এনাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তারা হলেন- র‌্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (চাকরিচ্যূত) জুলফিকার আলী মজুমদার, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যূত) শেখ মাহমুদুল হাসান, র‌্যাব-৭ এর সাবেক ডিএডি আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু, র‌্যাবের তিন সোর্স দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়ুয়া।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৪ নবেম্বর আনোয়ারার তালসরা দরবার শরীফে ঘটে এ লুটের ঘটনা। র‌্যাব সদস্যরা অভিযানের নামে দরবারে গিয়ে দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ আনে দরবার কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে ২০১২ সালের ১৩ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন দরবারের পীরের গাড়ি চালক মোঃ ইদ্রিস বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় র‌্যাবের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি সে সময় দেশজুড়ে আলোচিত হয়।

তালসরা দরবার শরীফে পরিচালিত ওই অভিযানে মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিককে আটক করা হয়। বিচারের জন্য তাদের হস্তান্তর করা হয় আনোয়ারা থানায়। কিন্তু সেখান থেকে টাকা সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে উল্লেখ করেনি র‌্যাব। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে র‌্যাব সদর দফতর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাওয়ার পর লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদুল হাসানকে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। পরে চাকরিচ্যূত করা হয়। মামলার সকল আসামিই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!