তারের জালে রিয়াজউদ্দিন বাজার, ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা

খুঁটিতে তারের জঞ্জাল। তারের ভারে বৈদ্যুতিক খুঁটি দেখাও মুশকিল। বৈদ্যুতিক, টেলিফোন, ডিশলাইন ও ইন্টারনেটের তারে ঢেকে গেছে খুঁটিগুলো। এর ফলে পথচারীরা অনেক সময় পড়ছে দুর্ঘটনায়। এসব তারের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারে গেলেই এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। খুঁটি থেকে এসব তার সরানো না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীসহ পথচারীরা।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘অনেকদিন ধরে অব্যবস্থাপনা ও নজরদারির অভাবে মার্কেটের তারের জঞ্জাল অপসারণ করা হচ্ছে না। ইন্টারনেট, ডিশ, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সঞ্চালনের তারের ভারে নুয়ে পড়ছে বিদ্যুতের খুঁটিও। এতে নষ্ট হচ্ছে মার্কেটের সৌন্দর্য এবং জনগণের চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে বাধা। এসব তারের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি।’

আরেক ব্যবসায়ী শাহিন আহমেদ বলেন, ‘রিয়াজউদ্দিন বাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যদি এমন ঝুঁকিপূর্ণ তার ও তারের পাশে ফেস্টুন ও ব্যানার ঝুলে থাকে তাহলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্যবসা করার সময় তারগুলো আমাদের গায়ে লাগে। তারপরও কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই৤’

পথচারীরা অভিযোগের সুরে বলেন, এ বৈদ্যুতিক খুঁটি খুবই বিপদজনক অবস্থায় আছে। তাছাড়া খুঁটিতে ঝুলছে বিজ্ঞাপনী ফেস্টুন ও রাজনৈতিক পোস্টার। এগুলোর কারণে সৌন্দর্যহানির পাশাপাশি হুমকির মুখে নিরাপত্তাও।
তারের জালে রিয়াজউদ্দিন বাজার, ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা 1
নন্দনকানন ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র অফিসার আব্দুল মান্নান বলেন, ‌‘রিয়াজুদ্দিন বাজারে আমরা বিভিন্ন মহড়া করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় অবস্থারত ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিয়েছি। তারগুলো দ্রুত অপসারণ করা হলে সবার জন্য ভালো হবে এবং দুর্ঘটনাও কমে আসবে।’

চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিতরণ দক্ষিণাঞ্চল প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রিয়াজউদ্দিন বাজারে আমাদের কোনো বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জাল নেই। যে তারগুলো জট বেধে আছে এগুলো ইন্টারনেট, টেলিফোন ও ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক কোম্পানির। এ তারগুলো আমরা কেটে দিয়েছিলাম৤ এতে ব্যাংকিং লেনদেনের সমস্যা হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের ব্যাংকিং লেনদেন সমস্যা সমাধান করা হয়েছিল।’

চিটাগং মাল্টি চ্যানেল লিমিটেডের ইন্টারনেট ও ক্যাবল নেটওয়ার্কের ডিরেক্টর এডমিন কামরুল আলম শামীম বলেন, ‘তারগুলোর অপসারণের কাজ চলছে। সরকার তো আমাদের আন্ডারগ্রাউন্ডের লাইসেন্স দেয়নি। যাদের দেওয়া হয়েছে তারা কাজ করতে দেরি করছে। আমরা সরকার ও সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি পেলে দ্রুত ইন্টারনেট ও ক্যাবল অপারেটরের তার আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মেয়রের কাছে প্রস্তাব রেখেছি সিটি কর্পোরেশন চাইলে পানি যাওয়ার ড্রেনের পাশেই যদি ছোট করে লাইন তৈরি করে দেন তাহলে আমরা নিজেরাই বিভিন্ন ক্যাবল ও ইন্টারনেটের তারগুলো মাটির গর্ভে নিয়ে যেতে পারব। লাইনের জন্য সিটি কর্পোরেশনকে পেমেন্ট করতেও রাজি আছি আমরা।’

এএইচ.

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!