৩ বছরে বন্দরের অবস্থান পঞ্চাশে উন্নীত হবে: বন্দর চেয়ারম্যান

‘চট্টগ্রাম বন্দরে সম্প্রতি অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে। এতে বন্দরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে লয়েড লিস্টে বন্দরের অবস্থান এগিয়েছে। গত বছর চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিলো ৭০। এবার সেটি উন্নীত হয়েছে ৬৪ তে। ২০২২ সালে বিশ্বের সেরা ১ শ বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৫০-এ নিয়ে আসা সম্ভব হবে।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের বিশাল সম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মাইনিং পোর্ট ও ফিশ হারবার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার ব্লু-ইকোনমির ওপর গুরুত্বারোপ করায় শীঘ্রই সমুদ্র সম্পদ আহরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সমুদ্রের গভীরে থাকা মূল্যবান মিনারেল মিশ্রিত মাটি-বালি সমুদ্র উপকূলের নির্দিষ্ট স্থানে তুলে সেমি প্রসেস করার জন্য মাইনিং পোর্ট প্রয়োজন। যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে। একইভাবে মূল্যবান টোনা ফিশসহ অন্যান্য মাছের জন্য ফিশ হারবার পোর্ট দরকার। উক্ত হারবারে থাকা প্রক্রিয়াজাত কারখানা থেকে মাছ সরাসরি বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।’

বন্দর চেয়ারম্যান আরো বলেন, চবক ভবিষ্যত কর্মকাণ্ডের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার এ্যালবাম তৈরি করার কাজ হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে বন্দরকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের পরিকল্পনা এতে থাকবে। এ জন্য চবক নতুন জমি কেনার প্রতিও মনোনিবেশ করেছে। ইতোমধ্যে বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য জমি নেয়া হয়েছে। মিরসরাই এলাকায় জমি কেনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যত উন্নয়ন পরিকল্পনায় জমির যেন কোন সংকট না হয় সেদিক লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ওভার ফ্লো-ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ ২ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হলে হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। বন্দরে আসা জাহাজ ৭২ ঘণ্টার স্থলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য খালাস ও বোঝাই কাজ সম্পন্ন করতে পারবে। তিনি বলেন, বন্দর সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় বে-টার্মিনাল হবে ফোকাল পয়েন্ট। বে-টার্মিনালে ডেলিভারি টার্মিনাল ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মিত হবে। যা আগামী দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সহসভাপতি মনজুর কাদের মনজু, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, অর্থ-সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, ক্রীড়া-সম্পাদক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, কার্যকরী সদস্য স ম ইব্রাহীম, কাজী আবুল মনসুর এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মোঃ জাফর আলম, সদস্য (ফিন্যান্স) কামরুল আমিন প্রমুখ।

এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!