জন্মদিনের কেক নিয়ে মারামারি, প্রাণ গেল যুবকের

প্রতিবেশিকে জোর করে জন্মদিনের কেক খাইয়ে দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে নিহত হয়েছেন এক যুবক। এ ঘটনায় শালার জন্মদিনে কেক কাটতে যাওয়া দুলাভাইকে শ্রীঘরে নিয়ে গেল পুলিশ। শালার জন্মদিনের কেক কাটতে এসে হত্যা মামলার আসামি হওয়া এই দুলাভাই আবার একজন ইউপি মেম্বার।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের হারামিয়া ইউনিয়নের কাচিয়াপাড় এলাকায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় নিহত যুবকের নাম মো. ছুফিয়ান (৩৩)।

নিহত ছুফিয়ানের স্বজনদের বরাত দিয়ে সন্দ্বীপ থানার উপপরিদর্শক মনোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ছুফিয়ানের সাথে জায়গা জমিন নিয়ে বিরোধ চলছিল প্রতিবেশি সাজেদুর রহমান মান্নার পরিবারের৷ গতকাল (বৃহস্পতিবার) ছিল মান্নার জন্মদিন। কেক কেটে মান্নার জন্মদিন পালন করছিল তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় ছুফিয়ানকে দেখলে তারা জোর করে কেক খাইয়ে দেয়। এই নিয়ে শুরু হয় হাতাহাতি। এক পর্যায়ে ছুফিয়ানের বুকে কেউ একজন লাথি বসিয়ে দিলে সেখানেই ঢলে পরে ছুফিয়ান। পরে অচেতন অবস্থায় ছুফিয়ানকে সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মান্নার মা ও বোন জামাইসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মান্নার বোন জামাই সোহরাব হোসেন সন্দ্বীপের আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য। শালার জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতেই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে, সন্দ্বীপ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তবে মান্নার স্বজনদের দাবি ছুফিয়ান হৃদরোগে ভুগছিল আগে থেকেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই সে মারা গেছে।

এ বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান বলেন, ‘হাতাহাতিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের স্বজনরা হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আমরা এজহারভুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তারও করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বাকিটা বলা যাবে।’

এরআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!