চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর থাকছে না?

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর থাকছে না? 1ক্রীড়া ডেস্ক : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপায় গেল রোববার খোদাই করা হয়েছে পাকিস্তানের নাম। তবে সরফরাজ আহমেদের দল হয়তো শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামার সুযোগ নাও পেতে পারে! কারণ মাত্রই ইংল্যান্ডে শেষ হওয়া টুর্নামেন্টটি হতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ আসর! ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি) তাদের সূচি থেকে ছেঁটে ফেলতে চাইছে ওয়ানডে ক্রিকেটের দ্বিতীয় বিশ্ব সেরা আসরকে। পরিবর্তে দুই বছর পর পর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে আইসিসি। সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন।

আইসিসি সূচি অনুসারে ভারতে ২০২১ সালে বসবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগামী আসর। তবে রিচার্ডসন বলেছেন, সেটা নিশ্চিত নয়। কারণ আইসিসির কিছু কর্মকর্তা মনে করেন বিশ্বকাপ ক্রিকেট এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কাঠামোতে খুব বেশিই মিল। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেয় বিশ্বের আটটি দল। আর আগামী ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে মাত্র দশটি দল। ফলে দুটো টুর্নামেন্টকে আলাদা করা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে! অন্যদিকে ক্রিকেটের সবচেয়ে আধুনিক সংস্করণ টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা তো দিনকে দিন বাড়ছেই!

এসব কারণে রিচার্ডসন লন্ডনে আইসিসির বার্ষিক সভা শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন আকারে উপস্থাপন করতে চাই। যেন সেগুলোর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে এবং যখনই আয়োজন করা হয় তখনই জনপ্রিয়তা লাভ করে।’ তিনি এর সাথে যোগ করেছেন, ‘২০২১ সালে ভারতে পরবর্তী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি রয়েছে। যদি সেটা পরিবর্তন হয়, তবে চার বছর সময়ের মধ্যে দুটি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করা হবে। তার মানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিবর্তে খেলা হবে একটি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ।’

দুই বছর পর পর টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের আইসিসির ইচ্ছা নিয়ে রিচার্ডসন জানিয়েছেন, ‘কথা হচ্ছে, টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট এখন প্রচুর দর্শক আকর্ষণ করে। আর টেলিভিশন কোম্পানিগুলোর জন্যেও তা প্রচুর লাভজনক। তবে আমরা যে কারণে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চাচ্ছি তার মূল কারণ হলো, সেখানে অনেক বেশি দলকে খেলার সুযোগ দিতে পারবো আমরা। ১৬ দল এমনকি ২০ দল নিয়ে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে।’

সূত্র: এএফপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!