চু্ক্তি নবায়নের পর প্রধান নির্বাচক নান্নুর প্রত্যয়ী কণ্ঠস্বর

আরেকদফা মেয়াদ বাড়িয়ে নান্নুর নেতৃত্বাধীন দু’সদস্যের উপর আস্থা রাখলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিগ বস নাজুমল হাসান পাপন। নতুন করে তাদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করায় এবং তাদের ওপর আস্থা রাখায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। পুনরায় প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়ে এই পর্বে নিজের সেরাটি দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন লাল সবুজের সাবেক এই নান্দনিক ব্যাটসম্যান।

ক্রিকেট পাড়ায় জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটিতে পরিবর্তনের গুঞ্জন উঠেছিল বেশ জোরেসোরেই। কিন্তু সেই গুঞ্জনকে গুঞ্জন প্রমাণিত করে গতকাল বোর্ড সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করলেন নির্বাচক প্যানেলে কোনো পরিবর্তন আসছে না। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত নান্নু-সুমনই মাশরাফি-সাকিবদের নির্বাচকের দায়িত্বে থাকছেন।

রোববার (২৮ জুলাই) তিনি জানান, ‘মাননীয় সভাপতিকে ধন্যবাদ জানাই। বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই। আবার কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। এখান থেকে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে চাই।’

প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বটা নান্নুর কাছে নতুন কিছু নয়। আগেও পালন করেছেন। ২০১৬ সালে সাবেক প্রধান ফারুক আহমেদের বিদায়ের পর তার কাঁধেই গুরু দায়িত্ব বর্তায়। কাজেই দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব পেয়ে আহামরি কোনো প্রতিবন্ধকতা অনুভূত হচ্ছে না তার।

তবে একটি জায়গাতে চ্যালেঞ্জ দেখছেন; সেটা হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কেননা ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে এই ফরম্যাটে আজও জীর্ণ-শীর্ণ লাল সবুজের দল। এর ফলাফলটাও হয়েছে ভয়াবহ। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাছাই পর্ব পেরিয়েই মূল পর্বে যেতে হবে টাইগারদের।

গেল ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিং অনুসারে ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পাচ্ছে- পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট উইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। সেই বিশ্বকাপের জন্য দল গঠন এবং বাছাইকেই আপাতত চ্যালেঞ্জিং দেখছেন নান্নু।

নান্নু যোগ করেন, ‘নির্বাচক প্যানেলে আসার আগে আমি কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলাম। খেলা ছাড়ার পর থেকে বয়স ভিত্তিক বা ‘এ’ দলের কোচিং করিয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। আমিও একজন লেভেল থ্রি কোচ। সেই হিসেবে টেকনিক্যাল সাইডটা অনেক ভালো জানি। এ পর্যন্ত যতদিন কাজ করে গিয়েছি, ভালো করেছি। আগামী দুই বছরের যে চ্যালেঞ্জ আছে সেটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরেই। আশা করি সবাইকে সাথে নিয়ে যদি টিম ওয়ার্ক করতে পারি, তাহলে একটা ফলাফল আসবে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!