চাঁদা দাবি ও পেট্রোল বোমা হামলা, ঢাকাইয়া আকবরসহ ৩ সন্ত্রাসীর দায় স্বীকার আদালতে

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার বিবিরহাট পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা দুই প্রবাসীর কাছে চাঁদা দাবি ও পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো করা হয়। গ্রেফতার হওয়া তিন সন্ত্রাসী প্রবাসীর ঘরে হামলায় ও চাঁদা দাবির সাথে জড়িত কথা স্বীকার করে জবাববন্দি দিয়েছে আদালতে।

পুলিশ জানায়, বিগত কয়েক মাস পূর্বে চান্দগাঁও থানাধীন এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণ কাজের জন্য নুরুল আক্কাস দেশে ফিরেন। তার তত্ত্বাবধানে তাদের পারিবারিক ছয়তলা বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ চলছিল। এর মধ্যে গত ২০ এপ্রিল রাতে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী নুরুল আবসারের মোবাইলে দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ ভারতের মোবাইল নম্বর থেকে এবং তার সহযোগী ঢাকাইয়া আকবর বাংলাদেশের একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে মোটা অঙ্কের চাঁদা করে। অথবা নগদ চাঁদার পরিবর্তে নির্মাণাধীন ভবনের একটি ফ্ল্যাট দাবি করে তারা।

চাঁদা দাবির একদিন পর ২১ এপ্রিল ভোর রাতে তাদের অনুসারী সন্ত্রাসীরা আলী আক্কাসদের বিবিরহাট পশ্চিম পাড়ার তিনতলা ভবনের দেয়ালে পরপর চারটি পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় চাঁদা দাবি ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন আলী আক্কাস।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক জানান, মামলা দায়েরের পর পুলিশের অনুসন্ধানের একপর্যায়ে গোপন সূত্রে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ঘটনায় সরাসরি অংশগ্রহণকারী আরিফিন নিশাত ও দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আরিফিন নিশাত ও দেলোয়ার হোসেন বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলামের আদালতে মামলার ঘটনার সাথে নিজেদের দায় স্বীকার করেন এবং আলী আকবর প্রকাশ ঢাকাইয়া আকবরসহ অপরাপর আসামিদের সম্পৃক্ত করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

একই ঘটনায় মহানগর গোয়েন্দা শাখা উত্তর বিভাগের নেতৃত্বে অন্যতম শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী আকবর প্রকাশ ঢাকাইয়া আকবরকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় আলী আকবর প্রকাশ ঢাকাইয়া আকবরও বিজ্ঞ আদালতে মামলার ঘটনার সাথে নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এ বিষয়ে বিজয় বসাক বলেন, ঢাকাইয়া আকবরকে চট্টগ্রামের বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অপরাপর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।

১৯৯৪-৯৫ সালে চট্টগ্রামের ভয়ংকর সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবরের সন্ত্রাসী জগতে উত্থান ঘটে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!