চন্দনাইশে ১০ হাজার বন্যাদুর্গতের পাশে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, পানিবন্দি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জেসিকা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আহমেদ।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে তার নিজ গ্রামের বাড়ি চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় ১০ হাজার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

জসিম উদ্দিন আহমেদ চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘীর পাড়ের মহল মার্কেটের মালিক। শুক্রবার জুমার নামাজের পর দুপুর আড়াইটায় চন্দনাইশের দক্ষিণ হাশিমপুর ইউনিয়নের বড়পাড়া এলাকায় বন্যাদূর্গতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের মধ্য দিয়ে তিনি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন।

ত্রাণ বিতরণকালে সেখানে স্থানীয় চেয়ারম্যান খুরশিদ বিন ইসহাক, সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব আলীসহ গণমান্য ব্যক্তিরা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় চেয়ারম্যান খুরশিদ বিন ইসহাক বলেন, ‘জসিম উদ্দিন আহমেদ আমাদের চন্দনাইশের কৃতি সন্তান। তিনি সব সময় এলাকার গরিব দুঃখী মানুষের পাশে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি, বন্যা দূর্গত মানুষদের জন্য তিনি ১০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ নিয়ে এসেছেন। বন্যায় চন্দনাইশের মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ব্যক্তি উদ্যোগে এখন পর্যন্ত কেউ এত বেশি ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে আসেননি।’
চন্দনাইশে ১০ হাজার বন্যাদুর্গতের পাশে ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন 1
দক্ষিণ হাশিমপুর বড়পাড়া তৈয়বিয়া তাহেরিয়া ফোরকানিয়া মাদরাসা মাঠে ওই এলাকার বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের পর তিনি দোহাজারী ইউনিয়নের ছাগাচর এলাকায় যান। সেখানে বন্যা দূর্গত কয়েকশ গ্রামবাসীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এরপর তিনি দোহাজারীর বেগম বাজার এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন।

ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ প্রসঙ্গে জসিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনারা জানেন, বন্যায় চন্দনাইশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকার লোকজন খাবার নিয়ে ব্যাপক কষ্টে আছেন। দূর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতেই আমার এই উদ্যোগ। প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমি ত্রাণ নিয়ে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে থাকব।’

ত্রাণ বিতরণকালে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের এলাকার সন্তান। সুখে দুঃখে সব সময় আপনাদের পাশে থাকতে চাই। খাবার সংকটের পাশাপাশি কেউ অর্থ কষ্টে থাকলে যোগাযোগ করবেন। বন্যায় কারো ঘর-বাড়ি নষ্ট হলে জানাবেন। আমি আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে পাশে থাকবো।’

ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চিড়া, মুরি, চাল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, আলু, লবণ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে মহল মার্কেটের নিচতলায় খাদ্য সামগ্রীগুলো প্যাকেট করা হয়। এরপর ওই ত্রাণসামগ্রী ১১টি ট্রাকে বোঝাই করে দুপুর ১টার দিকে চন্দনাইশে নেওয়া হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!