চট্টগ্রাম মেডিকেলের গাইনি ওয়ার্ডে দালালের আখড়া, নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ড সরদার-আনসার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড যেন দালালদের আখড়া। রোগীদের জিম্মি করে তাদেরকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করা তাদের ‘নিয়মিত’ কাজ। এর মধ্যে রয়েছে কম দামে বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে দিতে চাওয়া, বাইরে ল্যাবে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, নবজাতকের কানে আযান দেওয়া, রোগী-স্বজনদেরকে ওয়ার্ডের ভিতর যেতে দেওয়া ইত্যাদি। আর এসব দালালদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে গাইনি ওয়ার্ডের সরদার, ওয়ার্ড বয় ও গেটে দায়িত্ব রত আনসার।

কিন্তু মাঝে মাঝে এই চিত্রে বদলে যায়। চমেক হাসপাতালে দায়িত্বপালন করা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঝটিকা অভিযানে এসে কোন কোন দালালকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। সারারাত হাজতে রেখে করা হয় জামাই আদর। সর্বশেষ গত শনিবার (১৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড হতে গ্রেপ্তার হওয়া ২ দালালকে পাঁচলাইশ থানায় এনে ‘জামাই আদরের’ ঘটনা পুলিশ কর্মকর্তা নিজেই স্বীকার করেছেন।

চমেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ থেকে ওই দুই দালালকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল ৪ টায়। বিকেলে গ্রেফতার করা হলেও তাদেরকে রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেলের পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক।

গ্রেপ্তারকৃত দালালরা হলেন, হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর এলাকার মৃত মফজল আহম্মদের স্থী রশিদা বেগম (৬০) ও বোয়ালখালীর সারওয়াতলীর বাবুল দে’র ছেলে রয়েল দে (৩৫)।

নুরুল আলম আশেক আরও জানান, ‘গতকাল বিকেলে গাইনি বিভাগের সামনে থেকে দুই দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতে আদালত আর খোলা থাকে না। সারারাত তারা হাজতে ছিলেন। সকালে তারা নাস্তা সেরেছেন। পরে সকাল ১১টায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

আশেক আরও যোগ করেন, দালালরা দীর্ঘদিন গাইনী ওয়ার্ডে রোগীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নানা প্রলোভন দিয়ে নিজেদের ফায়দা করে। প্রতিনিয়তই আমরা এ ওয়ার্ড থেকে দালাল আটক করি।

আইএমই/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!