চট্টগ্রামে বৃষ্টির দেখা মিলছে না সহসা, তাপদাহ থাকবে আরও ৪ দিন

চট্টগ্রামে সহসা বৃষ্টি হচ্ছে না। তবে ৩ থেকে ৪ দিন পর কমতে পারে তাপমাত্রা। সোমবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগেরদিন এ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ বলেছেন, সহসা চট্টগ্রামে বৃষ্টির দেখা মিলবে না। পাঁচ বছরে মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশ।

কালবৈশাখিতে এ সময় প্রতিবছর ঝড়ের দাপট. মেঘলা আকাশ, বৃষ্টির দেখা মিললেও এবারে হয়েছে উল্টো। ক্রমাগত বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে লঘুচাপ কমেছে বঙ্গোপসাগরে। তাই কালবৈশাখীতেও দেখা নেই বৃষ্টির।

জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে গত ৫ বছরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে এ বছর। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে রাজশাহীতে।

১৮৮০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রেকর্ড অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপামাত্রা বৃদ্ধিই পেয়ে চলেছে। সেই ধারায় গত ১৪০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার বছর ছিল ২০২০ সাল। চলতি বছরও যার রেশ পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহারসহ গোটা উপমহাদেশে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত নভেম্বর থেকে প্রত্যেক মাসেই তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।

আবহাওয়ার স্বাভাবিক রীতি অনুযায়ী বৈশাখের এই সময়ে ১০ ভাগ বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার কথা। বঙ্গোপসাগর থেকে যে আদ্রতার যোগান আসার কথা, তাও আসেনি।

ঢাকার তাপমাত্রা আপাতত ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলেও অনুভূত হচ্ছে প্রায় ৪১ ডিগ্রি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকডাউন শেষে সকল প্রতিষ্ঠান ও যানবাহন চালু হলে বাড়বে তাপদাহ।

আর স্বাভাবিক বৃষ্টি না হওয়ার প্রবনতা অব্যাহত থাকলে মে মাসের তাপমাত্রাও হতে পারে এপ্রিলের মতোই তীব্র।

চট্টগ্রামের প্রধান আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. মুহম্মদ শহিদুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে মৃদু থেকে মাঝারী তাপপ্রবাহ চলছে। জুন থেকে বর্ষা মৌসুম। এর আগে তেমন বৃষ্টির জোগাড় দেখা যাবে না চট্টগ্রামে। তবে তিন থেকে চারদিন পর তাপপ্রবাহ কমতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের উপর যে মেঘ তৈরী হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। মেঘ তৈরী না হওয়ায় বৃষ্টির আশা ক্ষীণ। কবে নাগাদ হতে পারে তাও সুনিদিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না।’

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!