চট্টগ্রামে নাশকতার অভিযোগে ২ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

বিএনপির চলমান হরতাল ও অবরোধে নাশকতার মামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রামের দুই যুবদল নেতা। গ্রেপ্তার দুই নেতাকেই কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) রাতে র‌্যাব ও পুলিশের পৃথক দুই অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন নগরীর পাহাড়তলী থানা যুবদলের আহ্বায়ক কুতুব উদ্দীন কুতুব ও কর্ণফুলী থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শওকত।

শওকতকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে র‌্যাব জানায়, হরতালের সমর্থনে গত ১ নভেম্বর কর্ণফুলী থানার ভেল্লাপাড়া ব্রীজ এলাকায় একটি বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে যুবদলের নেতাকর্মীরা। ঘটনার পর শওকতের নামসহ মোট ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার এড়াতে অনেকটা আত্মগোপনে চলে যান শওকত।

পরে শওকতকে বাকলিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

অন্যদিকে একই অভিযোগে পাহাড়তলী থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন। নাশকতা মামলার আসামি কুতুবকে অভিযান চালিয়ে সন্ধ্যায় পাহাড়তলী এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, ‘নাশকতার মামলায় কুতুব উদ্দিনকে রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালাতে পাঠানো হয়েছে এবং রিমান্ডের আবেদনও করা হয়েছে।’

এদিকে পাহাড়তলী থানা যুবদলের আহ্বায়ককে গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছেন নগর যুবদল। গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, নেতাকর্মীদের যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাতে এটি সুস্পষ্ট যে, আগামী নির্বাচন যেন-তেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর এই বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।

জনগণের দাবি আদায়ের চলমান হরতাল-অবরোধ আন্দোলন সংগ্রামকে বন্ধ করতে এসব গ্রেপ্তার, হয়রানি করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে একইসঙ্গে দক্ষিণ আগ্রাবাদ ২৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মাঈনুদ্দিন আহমেদ মানিকসহ যুবদল নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদ ও জানানো হয়।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!