চট্টগ্রামে আরও শতাধিক করোনা শনাক্ত, মৃত্যু বেড়ে ২৬৮

চট্টগ্রামে টানা কয়েকদিন একশ’র নিচে থাকা করোনা শনাক্ত আবারও বেড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জনে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে নগরের ৮৩ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ২১ জন। একই সাথে করোনায় মারা গেছেন আরও একজন।

ফলে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন ১৬ হাজার ৮৬৬ জন। যাদের মধ্যে নগরের ১১ হাজার ৯৯৫ জন এবং উপজেলার চার হাজার ৮৭১ জন। এদিনও নতুন সুস্থ না থাকায় সুস্থতার সংখ্যা চার হাজার জনেই স্থির আছে। অন্যদিকে, মৃৃৃৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ২৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ছয়টি ল্যাব ও কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ৮৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে নগরের ৮৩ জন এবং উপজেলার ২১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে করোনায় নগরের
একজনের মৃত্যু হলেও সুস্থ হওয়ার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ৩৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় ২৩ জনের দেহে। এর মধ্যে ২১ জনই নগরের বাসিন্দা এবং ২ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করেও কারো দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেনি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ৩৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরেরই ৩০ জন, বাকি ৫ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১০৮ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে দিনের সর্বোচ্চ ২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ১২ জন নগরের এবং ১০ জন বিভিন্ন উপজেলার।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ১২ জনের দেহে করোনা জীবাণু পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি করোনার পরীক্ষাগার শেভরণ ল্যাবে ৩৬ জনের নমুনায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের ৮ জন নগরের এবং ৩ জন উপজেলার।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ১ জন রোগী শনাক্ত হয়।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ২১ জনের মধ্যে রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়। উভয় উপজেলায় ৪ জন করে শনাক্ত হয়। এছাড়া আনোয়ারায় ৩ জন, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও সীতাকুণ্ডে ২ জন করে এবং লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, ফটিকছড়ি ও মিরসরাইয়ে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!