চট্টগ্রামের জাহাজ ডুবে গেল ভৈরবে গিয়ে, বিপুল সার মিশে গেছে পানিতে

চট্টগ্রামের একটি জাহাজ যশোরের ভৈরব নদে গিয়েই ডুবে গেল ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারসহ। সব সারই গলে নদীর পানিতে ছড়িয়ে পড়ায় দেখা দিয়েছে পানি দূষণের আশঙ্কাও।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে যশোরের নওয়াপাড়া পীরবাড়ি খেয়াঘাটের পাশে ভৈরব নদে এম ভি শারিব বাঁধন নামের জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজে এ সময় বিসিআইসির (বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন) কাতার থেকে আমদানি করা ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ছিল। ওই ইউরিয়া সার পরিবহন করছিল চট্টগ্রামভিত্তিক শিপিং কোম্পানি টোটাল শিপিং।

টোটাল শিপিং সূত্রে জানা যায়, কাতার থেকে আমদানি করা ইউরিয়া সার মাদার ভ্যাসেল বা বড় জাহাজে করে চট্টগ্রামে আনা হয়। সেখানে মাদারভ্যাসেলে থেকে ৬৪০ মেট্রিক টন (১২ হাজার ৮০০ বস্তা) ইউরিয়া ছোট জাহাজ এম ভি শারিব বাঁধনে ভর্তি করা হয়। গত ২১ জানুয়ারি জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রওনা হয়ে গত ২৫ জানুয়ারি যশোরের নওয়াপাড়া পীরবাড়ি খেয়াঘাট এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে এসে নোঙ্গর করে।

জাহাজ থেকে ইউরিয়া ঘাটে নামানোর জন্য বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাহাজটি তীরের কাছে আনা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাহাজ থেকে ইউরিয়া সার ঘাটে নামানোর কথা ছিল।

জানা গেছে, বুধবার রাতে নদে ভাটা ছিল। নদে পানি কম থাকায় ইউরিয়ার ভারে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজে পানি উঠতে থাকে এবং একপর্যায়ে জাহাজটি আস্তে আস্তে নদের পানিতে ডুবে যেতে থাকে। রাত ২টার দিকে জাহাজটি নদের পানিতে ডুবে যায়। এতে জাহাজের সব ইউরিয়া সার গলে নদের পানিতে মিশে গেছে।

এম ভি শারিব বাঁধন এর মাস্টার শরীফ হোসেন বলেন, ‘ভৈরব নদের ঘাটে জাহাজটি বাঁধা ছিল। জাহাজে ৬৪০ মেট্রিক টন ইউরিয়া ছিল। জাহাজ থেকে ইউরিয়া নামানোর অপেক্ষায় ছিল। বুধবার রাতে জাহাজের তলা ফেটে পানি উঠতে শুরু করে। এ সময় নদে পানি কম ছিল। রাত সাড়ে ১২টা থেকে জাহাজটি আস্তে আস্তে ডুবতে শুরু করে এবং রাত ২টার দিকে জোয়ারে জাহাজটি নদের পানিতে সম্পূর্ণ ডুবে যায়।’

টোটাল শিপিং কোম্পানির খুলনা ইনচার্জ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘জাহাজে থাকা সব ইউরিয়া সার গলে নদের পানিতে মিশে গেছে। এতে অনেক ক্ষতি হবে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না। সার গলে যাওয়ায় নদের পানির কিছুটা দূষণ হবে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!