ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে ধরা শ্রম কর্মকর্তা, ফি ৩০০—নেন ১৫ হাজার

সরকারি ফি ৩০০ টাকা। তিনি নেন ১৫ হাজার টাকা। টাকা দিলে সহসা মেলে লাইসেন্স। এভাবে প্রতিমাসে প্রায় ১০টি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন এক থেকে দেড় লাখ টাকা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাতানো ফাঁদে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠ এলাকা থেকে এক বেকারির মালিকের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণকালে টাকাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

তিনি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার মোকামতলা এলাকার বিরেন্দ্র নাথের পুত্র ও চট্টগ্রামে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক কর্মকর্তা (সেফটি) পলাশ কুমার দাশ।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় মো. পাবেল নামের এক ব্যবসায়ীর বেকারি পরিদর্শন করেন অভিযুক্ত এই কর্মকর্তা। পরিদর্শককালে পাবেলের কাছ থেকে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে তার কথামতো তাকে অগ্রিম ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন পাবেল। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বাকি ১০ হাজার টাকা দেওয়ার সময়ে ফাঁদ সৃষ্টি করে দুদক। এতে ঘুষ গ্রহণ করার সময় টাকাসহ গ্রেপ্তার হন ওই কর্মকর্তা। তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১৬১ ধারা ও ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) অভিযোগ আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপপরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, দীর্ঘদিন এই এলাকায় চাকরি করার সুবাদে চট্টগ্রামের বিভিন্ন দোকান, বেকারি, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স দেওয়ার নামে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয় আসামি পলাশ কুমার দাশ। প্রতিটি লাইসেন্স দেওয়ার নামে ক্যাটাগরি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার থেকে ১ লাখ পর্যন্ত ঘুষ গ্রহণ করে আসছেন অভিযুক্ত ওই কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকালে তার সম্পদের খোঁজ পেতে প্রতিবেদন তৈরি করে কমিশন বরাবরে সুপারিশ করা হবে।

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!