করোনা ভাইরাস ঠেকাতে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। টেকনাফ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন যাতায়াত বন্ধ থাকলেও মিয়ানমার থেকে পণ্যবোঝাই জাহাজ ও ট্রলার নিয়মিত যাতায়াত করছে। ফলে বন্দরে আসা ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। বর্তমানে টেকনাফ বন্দরে ২০টির মতো মিয়ানমারের ট্রলার নোঙর করা রয়েছে। এতে মিয়ানমারের আকিয়াবসহ বিভিন্ন জেলার অর্ধশতাধিক নাগরিক রয়েছে। ট্রলারের এসব মাঝি-মাল্লারা বন্দরের বাইরে যেতে পারে না। এছাড়া বন্দরের অভ্যন্তরেও তাদের চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘গত সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর জরুরি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থলবন্দরে কোনো শ্রমিকের সর্দি-জ্বরসহ কোনো ধরনের সন্দেহজনক লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে জানাতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর থেকে চীনে দেখা যাওয়া করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে ১২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ছড়িয়ে পড়া দেশের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের নামও। যদিও মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সীমান্ত রয়েছে।
এএইচ