করোনায় ঢাকার সমান মৃত্যু চট্টগ্রামেও, নতুন শনাক্ত আরও ৩৯৪৬

মহামারী করোনাভাইরাসের মৃত্যু নিয়ে ঢাকার সাথে যেন পাল্লা দিয়ে লড়ছে চট্টগ্রাম। করোনায় প্রাণহানীর শুরু থেকেই ঢাকার আশেপাশেই থাকে চট্টগ্রামের অবস্থান। এর মাঝে বেশ কয়েকবার একদিনে ঢাকার চেয়েও বেশি মৃত্যু দেখেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। অন্যান্যদিন একটু পিছিয়ে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে মারা যাওয়া ৩৯ জনের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রামেই মারা গেছেন সমান ১০ জন করে। বাকি ১৯ জন অন্যান্য ছয় বিভাগে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬২১ জনে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩৯৪৬ জন। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ লাখ ২৬ হাজার ৬০৬ জন।

ঢাকা চট্টগ্রাম ছাড়া খুলনা ও রাজশাহীতে পাঁচজন করে, রংপুরে চারজন, ময়মনসিংহে তিনজন এবং বরিশাল বিভাগে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাসায় থেকে মারা গেছেন ১১ জন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

দেশে ৬৬টি পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে ১৭ হাজার ৫৮৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগের কিছু নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯৯টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৩টিতে। দেশে নতুন করে আরো এক হাজার ৮২৯ জন করোনারোগী সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫১ হাজার ৪৯৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের বিশ্লেষণ তুলে ধরে নাসিমা সুলতানা বলেন, মৃত ৩৯ জনের মধ্যে ৩২ পুরুষ এবং সাতজন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণে জানানো হয়, মারা যাওয়াদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের দুজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের সাতজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের বয়সসীমার একজন রয়েছেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!