শেখ হাসিনাও খুশি চট্টগ্রাম উত্তর আওয়ামী লীগের এই নেতৃত্বে

কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে আগামী ৩ বছরের জন্য চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এমএ সালাম ও শেখ আতাউর রহমান আতা নির্বাচিত হওয়ায় খুশি হয়েছেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবুও কাউন্সিলরদের ভোটে জিতে আসায় একটি মডেল তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনার পূর্ব ধারণাই প্রতিফলিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ সাক্ষাত করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব মন্তব্য করেন। বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম।

তিনি জানান, উত্তর জেলার সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের সভানত্রেী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গণভবনে যান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নব নির্বাচিত নেতারা। এ সময় সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা, স্বন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নেতৃবৃন্দ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানান। কথা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তোমরা তো জিতেই এসেছো। আমিও তো তোমাদের শীর্ষ পদে চেয়েছিলাম। যাই হোক এখন ভোটে জিতে এসেছো সেটাই ভালো হলো।’

এ সময় উত্তর জেলার নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চান বলে জানান এমএ সালাম।

এর আগে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচত হয়। কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে আগামী ৩ বছরের জন্য চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে এমএ সালাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ আতাউর রহমান আতা নির্বাচিত হয়েছেন। সভাপতি পদে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম পেয়েছেন ২২৩ ভোট এবং রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী পেয়েছেন ১২৯ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শেখ আতাউর রহমান পেয়েছেন ১৯৬ ভোট এবং মিরসরাইয়ের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ১৫৪ ভোট। এতে মোট ৩৬৬ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!