ইয়াবা ব্যবসায়ে সাবেক মেম্বার, দুদকের অনুসন্ধানের খবরে আত্মগোপন

কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার মো. ইউনুচ সিকদার। মেম্বারের পরিচয় কাজে লাগিয়ে ১০ বছর ধরে করেছেন ইয়াবা ব্যবসা। আয় করেছেন অবৈধ সম্পদ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানের খবর পেয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে চলে গেছেন তিনি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত সাবেক মেম্বার হলেন মো. ইউনুচ সিকদার ওরফে মুইষ ইউনুচ ওরফে মোহাম্মদ ইউনুচ (৪৪)। তিনি কক্সবাজার জেলার টেকনাফের চান্দলী পাড়ার আবুল কাশেম ওরফে কাসেম আলী ওরফে মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে। তিনি টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার ছিলেন।

তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে বহির্ভূতভাবে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা তৎসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই মো. ইউনুচ সিকদারের প্রতি সম্পদ বিবরণীর আদেশ প্রেরণ করা হয়। তিনি এই সম্পদ বিবরণী গ্রহণ না করায় পরবর্তীতে ওই বছর ২০ সেপ্টেম্বর তার বাড়ির সামনে লটকিয়ে সম্পদ বিবরণীর আদেশ জারি করে দুদক।

অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে টেকনাফের পৌরসভায় তার মায়ের নামে একটি বাড়ি নির্মাণ করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ টাকা। প্রাথমিকভাবে দুদক অনুসন্ধানে তার গ্রহণযোগ্য কোনো আয় না পাওয়ায় এই বাড়িটি তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে রেখেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন।’

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!