করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আদালতের কার্যক্রমও বন্ধ ছিল। তবে ২৩ এপ্রিল আবার সীমিত আকারে সপ্তাহে দুইদিন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর দুইদিনের মাথায় প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই আদেশ স্থগিত করার নির্দেশ দেন। ফলে আদালতের কার্যক্রম আপাতত চালু হচ্ছে না।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আদেশে সুপ্রিম কোটের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের সার্কুলারে জেলা ও মহানগরের দায়রা জজ এবং মুখ্য বিচারিক হাকিম আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ-আলোচনায় সুবিধামতো সপ্তাহে দুইদিন নিম্ন আদালতে জরুরি জামিন শুনানির আদেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
শনিবারের সার্কুলারে বলা হয়, ‘ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনা করে জেলা জজ ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ এবং চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত/চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম সপ্তাহে দুইদিন পরিচালনা সংক্রান্ত আদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ঢাকা জেলা আইনজীবী সমিতি এবং চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিসহ সাধারণ বিজ্ঞ আইনজীবীগণ বর্ণিত আদেশ পুনর্বিবেচনা করে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত রাখার অনুরোধ করেন।
বিষয়টি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারকদের সঙ্গে আলোচনা করে আদালত সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন।
এফএম/এসএ