ঘুষ লেনদেন, দুদকের জালে ধরা ভূমি কর্মকর্তা

ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতির অভিযোগে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বিজয় কুমার সিংহকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, কক্সবাজারে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু এর ভেতরেই একটা চক্র বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে থেকে অবৈধভাবে ঘুষ লেনদেন করছে। এমন অভিযোগ পেয়ে বেশ কয়েকজন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয়েছে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

দুদকের ধারাবহিক তদন্তে ওঠে এসেছে আরও বেশ কয়েকজনের নামও। যার মধ্যে ছিল খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বিজয় কুমার সিংহের নামও। অবশেষে এ কর্মকর্তাকেও গ্রেপ্তার করেছে দুদক। সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরী জিইসি মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামি বিজয় কুমার সিংহ গাইবান্ধা জেলার বল্লমঝাড় উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের মৃত অনিল কুমার সিংহের পুত্র। মামলাটি তদন্ত করছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন।

জানা যায়, ২০২০ সালের ১০ মার্চ অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা গ্রহণকালে ওয়াসিম উদ্দিন নামে এক সার্ভেয়ারকে গ্রেপ্তার করে র্যািব। এসময় তার কাছ থেকে ৯৩ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৩ সার্ভেয়ারকে সুর্নিদিষ্ট আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিল র‌্যাব।

২০২০ সালের ২২ জুলাই সেলিম উল্লাহ ও মো. সালাহ উদ্দিন ও কমর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে দুদক। এরপর পর্যায়ক্রমে দুদক একর পর অভিযুক্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে দুদক। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় থেকে কক্সবাজারের মহেশখালী কালারমারছড়া ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ সোমবার গ্রেপ্তার হল খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বিজয় কুমার সিংহকে।

দুদক জানায়, আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৬১, ১৬২, ৪২০, ১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

মুআ/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!