মশা নিধনে পরামর্শ দিবে চবি শিক্ষকরা

চট্টগ্রাম নগরীতে রাতের বেলা তো দূরের কথা, দিনের বেলাতেই মশার উৎপাতে নাভিশ্বাস উঠবে নগরবাসীর। মশা নিধনে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও কার্যকর কোন অগ্রগতি পাচ্ছে না চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এ অবস্থায় মশা নিধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষকদের পরামর্শ চেয়েছেন চসিকের নতুন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

রোববার (১৪ মার্চ) মেয়রের আমন্ত্রণে চসিক কার্যালয়ে মেয়রের সাথে আলোচনা করতে যান চবি শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল। ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন চবির প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া, সহযোগী অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক রাসেল ও কাজী নুর সোহাত।

প্রতিনিধি দল চসিক মেয়রের সাথে মশার ঔষধ, ছিটানোর প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে গবেষণার মাধ্যমে পরামর্শ দিবেন বলে জানিয়েছেন।

এ সময় শিক্ষকদের উদ্দেশে চসিক মেয়র বলেন, ‘আমাদের প্রয়োগ করা ওষুধ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই ওষুধ মশক নিধনে খুব বেশি কাজে আসছে না। তাই কোনো ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করলে মশা ঠেকানো যাবে তা নিয়ে গবেষণা করার জন্য আমি আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

চবি শিক্ষকদলের নেতৃত্বে থাকা ড. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, চসিক মেয়রের আমন্ত্রণ ও চবি উপাচার্যের নির্দেশে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি টিম মশা নিধনে কাজ করার জন্য চসিক কার্যালয়ে এসেছি। মেয়র আমাদের একটি চিঠি দিয়েছেন। আমরা চিঠির প্রেক্ষিতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করে বর্তমানে প্রয়োগ করা ওষুধ নিয়ে গবেষণা করব। এই ওষুধে কোনো সমস্যা আছে কি না তা দেখে, নতুন কীভাবে ওষুধ প্রয়োগ করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করব।

তিনি আরও বলেন, মশা নিধনে আমরা স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি দুইটি পদক্ষেপ নিয়েই কাজ করবো। যাতে মশা দ্রুত কমে যায় এবং পুনরায় যাতে মশা বংশবৃদ্ধি করতে না পারে।

এমআইটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!