আবার ধরা জামালখানের গ্র্যান্ড সিকদার ও মোগল বিরিয়ানি, জরিমানা এবার ৯০ হাজার
নোংরা পরিবেশে বানায় খাবার, থাকে না মেয়াদও
চরম নোংরা পরিবেশে খাবার বানিয়ে ক্রেতাদের পরিবেশন করে যাচ্ছিল চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান এলাকার রেস্টুরেন্ট গ্র্যান্ড সিকদার ও মোমিন রোডের মোগল বিরিয়ানি হাউস। এমনকি এই দুটি রেস্টুরেন্টের কর্মরত কর্মীদের নেই স্বাস্থ্য সনদ।
বুধবার (২ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে এমন ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়ার পর দুটো রেস্টুরেন্টকেই জরিমানা করা হয়েছে। শুধু চলতি বছরেই এ নিয়ে দুবার জরিমানা দিতে হল গ্র্যান্ড সিকদারকে।
বুধবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলীর নেতৃত্বে পরিচালিত পৃথক পৃথক ওই অভিযানে দেখা যায়, খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা হচ্ছিল চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান এলাকার রেস্টুরেন্ট গ্র্যান্ড সিকদার ও মোমিন রোডের মোগল বিরিয়ানি হাউসে।
রান্নাঘরে শুধু যে নোংরা পরিবেশ তাও নয়, দুটি রেস্টুরেন্টেই মেয়াদ ও লেবেলবিহীন পণ্য সাজিয়ে খাবার বিক্রি করা হচ্ছিল।
এসব অভিযোগ হাতেনাতে ধরা পড়ায় জামালখানের গ্র্যান্ড সিকদার রেস্টুরেন্টকে ৬০ হাজার টাকা এবং মোমিন রোডের মোগল বিরিয়ানি হাউসকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হল।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারিও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত করােনা সংক্রমণ প্রতিরােধে সরকার ঘােষিত বিধিনিষেধ ভঙ্গ এবং টিকা সনদ ছাড়া গ্রাহকদের খাবার পরিবেশনের দায়ে জামালখানের গ্র্যান্ড সিকদার হােটেলকে ৫ হাজার টাকা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় তিন ব্যক্তিকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করে।
তারও আগে একাধিকবার জরিমানা গুণেছে জামালখানের এই রেস্টুরেন্টটি। ২০১৯ সালের ২৯ আগস্ট চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস পরিচালিত এক অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, ড্রেস কোড না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে গ্র্যান্ড সিকদার রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। ওই অভিযানে পার্শ্ববর্তী দাওয়াত রেষ্টুরেন্টকেও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর পাঁচ মাস আগে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশনের দায়ে গ্র্যান্ড সিকদার হোটেলকে ২০ হাজার টাকা এবং মোগল বিরিয়ানি হাউসকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
এদিকে বুধবার (২ মার্চ) জামালখান সড়কে নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলায় সাইনবোর্ড না থাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অন্যদিকে স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজনের নেতৃত্বে কদমতলী, আইস ফ্যাক্টরি রোডে নালা ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করা এবং রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাসহ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সিপি