চট্টগ্রামে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে এক লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় বুধবার ১৫ মে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড ও চান্দগাঁও থানায় চারটি তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে ১৬টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে আট প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট এক লাখ ৫৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় অননুমোদিত দই, বাঁসি খাবার, সংবাদপত্রের কাগজে রক্ষিত ইফতার সামগ্রী, হাইড্রোজ দেয়া জিলাপি, অননুমোদিত রং, রং দেয়া খামির ধ্বংসসহ ১৬টি কম ওজনের বাটখারা জব্দ করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের উপ পরিচালক প্রিয়াংকা দত্ত, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযানসমূহ পরিচালনা করেন।

নগরীর ইপিজেড থানার নেভী হাসপাতাল গেইট এলাকার কাঁচা বাজারে গরুর মাংসের দোকানে মূল্যতালিকা না থাকায় ও ওজনে কম দেওয়ায় শাহ নূরের মাংসের দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা, বেলালের মাংসের দোকানকে তিন হাজার টাকা, জোহা মিয়ার মাংসের দোকানকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং ১৬টি কম ওজনের বাটখারা জব্দ করা হয়।একই এলাকার জাহানারা হোটেলকে ইফতার সামগ্রীতে ক্ষতিকর রং ব্যবহার করায় দশ হাজার টাকা জরিমানাসহ রং দিয়ে প্রস্তুত ইফতার সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া হাইড্রোজ ব্যবহার, ইফতার সামগ্রি সংরক্ষণে সংবাদপত্রের কাগজ ব্যবহার, পোকাসহ বেগুনি তৈরি ইত্যাদি অপরাধে বহাদ্দারহাট এলাকার হোটেল জামান এন্ড বিরানি হাউসকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় ১০ কিলোগ্রাম হাইড্রোজ দিয়ে প্রস্তুত করা জিলাপি ধ্বংস করা হয়।

মডার্ন হাসান বেকারিকে উৎপাদন, মেয়াদ ও অনুমোদনবিহীন দই প্রস্তুত করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রায় ১২ কিলোগ্রাম দই ধ্বংস করা হয়। এছাড়া জান্নাত বেকারিকে হাইড্রোজ ও রং ব্যবহার করে জিলাপি প্রস্তুত করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় ১০ কিলোগ্রাম জিলাপি ও খামির ধ্বংস করা হয়। এ সময় লাকি ঝাল বিতানকে হাইড্রোজ ব্যবহার করে জিলাপি তৈরি করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ ক্ষতিকারক জিলাপি ও খামির ধ্বংস করা হয়।

এস.আর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!