বাংলাদেশ কিংবা পশ্চিমবঙ্গে হামলার তারিখ ঠিক করে ফেলেছে জঙ্গিরা, জানাল ভারতের গোয়েন্দারা

আত্মঘাতী হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। দিনক্ষণও হয়ে গেছে ঠিক—বুদ্ধপূর্ণিমার দিন। আর সেই হামলা হতে পারে বাংলাদেশ কিংবা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মন্দিরে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গকে সতর্ক করে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (আইবি)।

আগামী ১৮ মে (শনিবার) বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা ইসলামিক স্টেট (আইএস) কিংবা জামাতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এ হামলা চালাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আইবি। এর আগে শ্রীলংকায় হামলার আগে শ্রীলংকান পুলিশকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় অন্য একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে।

ভারতীয় জি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সতর্ক করেছে। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকারও মন্দিরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

আইবি বলেছে, বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ কিংবা হিন্দুদের মন্দিরে এ হামলা হতে পারে। তবে ঠিক কোনো মন্দিরে হামলা হবে তা নিশ্চিত হতে পারেননি গোয়েন্দারা।
তবে কীভাবে হামলা হতে পারে তার একটা ইঙ্গিত পেয়েছেন তারা। আর তা হলো- আত্মঘাতী হামলায় নারীরা অংশ নিতে পারে। যারা গর্ভবর্তী নারী সেজে প্রার্থনার ভান করে মন্দিরে প্রবেশ করে হামলা চালাতে পারে।

খবরে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনকে এ নিয়ে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় আইবি’র পক্ষ থেকে।

জি নিউজ বলছে, এ নিয়ে অবশ্য প্রশাসনের কারও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, এই সতর্কবার্তা পাওয়া মাত্রই রাজ্যের সমস্ত মন্দিরের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা (নাম উল্লেখ নেই) বলেছেন, ‘আমরা সতর্কবার্তা পেয়েছি। আমরা শহর ও রাজ্যের অন্যান্য অংশের মন্দিরগুলোতে (হিন্দু ও বৌদ্ধ) নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আমরা কোনো সুযোগ দেব না।’

ওই অফিসার আরো বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সরকার এই ধরনের সতর্কতা উপেক্ষা করেছিল এবং তার ফল আমরা দেখেছি। আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়েছি এবং সকল জায়গায় সতর্কতা জারি করেছি এবং হামলা ঠেকানোর পূর্ব প্রস্তুতি নিতে বলেছি।’

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিএমপির কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের প্রধান উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘শ্রীলংকার হামলার পর আমরা সর্তক অবস্থানে আছি। তবে ভারতীয় এ গোয়েন্দা সংস্থার কোনো সতর্কবার্তার খবর আমরা পাইনি এখনো। আর আগে থেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় ও অনুষ্ঠানের সময় আমরা বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিচ্ছি। বৌদ্ধ পূর্ণিমার সময়ও সর্বত্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।’

এডি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!