দুর্নীতির দায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত ইমরাতুননেছা সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফেরদৌস আরা বেগমকে চাকরি হতে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্কুলের ৫৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১০ জুন) ফেরদৌস আরা বেগমকে চাকরি হতে বাধ্যতামূলতক অবসর প্রদানের অফিস আদেশ জারি করেছেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা। ওই অফিস আদেশে ফেরদৌস আরা বেগমের অবসর উত্তর ছুটি মঞ্জুর বাতিল করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে।
তদন্ত কর্মকর্তা ও চসিকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, ‘ফেরদৌস আরা বেগমের বিরুদ্ধে ৫৯ লাখ টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছিল, তা সঠিক।’
চাকরি হতে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করায় ওই অর্থ কিভাবে ফেরত পাবেন প্রশ্ন করা হলে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, ‘ওনার গ্র্যাচুইটি, প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং ছুটির টাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রের ফান্ডে জমা করা হবে। ওই টাকা থেকে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ পূরণ করা হবে। উনার টাকা ৫৯ লাখ টাকার চেয়ে বেশি হলে বাকিটা ফেরত দেওয়া হবে।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের বেতন, ভর্তি ও পরীক্ষার ফি-সহ স্কুলের বিভিন্ন আয় চসিকের হিসাব বিভাগে জমা না দিয়ে গত তিন বছর ধরে নিজের কাছে রেখে দেন ফেরদৌস আরা বেগম। বিষয়টি কর্মকর্তাদের নজর আসলে ২০১৭ সালের শেষের দিকে তাকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তার জবাব দেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর বিভাগীয় মামলা করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে চসিক। ওই কমিটি দীর্ঘ এক বছর তদন্তের পর প্রায় ৫৯ লাখ টাকা অনিয়মের সত্যতা পায়। বিভাগীয় মামলা চলাকালীন ফেরদৌস আরা বেগম ফিরোজশাহ কলোনি সিটি করপোরেশন স্কুলে বদলি হন। পরে সেই স্কুল থেকে এলপিআরে যান।
এমএ/এসএস