৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ, সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কাস্টম ট্রেনিং একাডেমি চট্টগ্রামের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) গোলাম কিবরিয়া হাজারী। অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তার বিরুদ্ধে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে প্রায় ৭ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক। এই ঘটনায় গোলাম কিবরিয়া হাজারীর মেয়েকেও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।

একইসঙ্গে স্বামীর অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের সহযোগিতায় করায় তার স্ত্রী সেলিনা আকতারের বিরুদ্ধেও পৃথকভাবে একটি মামলা দায়ের করেছে দুদক।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দুটি করেন।

অভিযুক্তরা হলেন ফেনী সদর থানার মাস্টার পাড়ার মৃত দেলোয়ার হোসেন হাজারীর ছেলে গোলাম কিবরিয়া হাজারী (৬৮) তার মেয়ে সাদিয়া আক্তার ফারহা (২৮) এবং তার স্ত্রী সেলিনা আকতার (৪৮)। বর্তমানে তারা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ২/১৪-১৫ বাড়ির নম্বর বাড়িতে বসবাস করছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট কাস্টম ট্রেনিং একাডেমি চট্টগ্রামের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) গোলাম কিবরিয়া হাজারী। অসৎ উদ্দেশ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৩ টাকার সম্পদের তথ্য মিথ্যা প্রদান করেন গোলাম কিবরিয়া হাজারী। একইসঙ্গে ৩ কোটি ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৯ টাকার সম্পদের তথ্য অবৈধভাবে অর্জনপূবর্ক ভোগদখলে রেখেছেন সাবেক কাস্টমের এই কর্মকর্তা।

এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। গোলাম কিবরিয়া হাজারী কাস্টমস বিভাগের চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার নামে সম্পদ অর্জনের করায় দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

একইসঙ্গে ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট সেলিনা আকতারের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিল করে দুদক। সেখানে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৮৩৫ টাকার সম্পদের তথ্য মিথ্যা প্রদান ও ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫ হাজার ১৮৫ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছে সেলিনা আকতার। তার স্বামী গোলাম কিবরিয়া হাজারী কাস্টমস বিভাগের চাকরিতে কর্মরত অবস্থায় অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রী সেলিনা আকতার নামে সম্পদ অর্জনের সহযোগিতা করায় দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক।

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!