৪ লাখ মানুষ কাজ পাবে চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে

চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ পাবে অন্তত চার লাখ মানুষ। দেশে আগামী ১০ বছরের মধ্যে আরও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হলেও এর মধ্যে নানা কারণে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে চট্টগ্রামের এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি। প্রত্যাশিত বিনিয়োগই শুধু নয়, কর্মসংস্থান ও বার্ষিক আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও অন্য যে কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চলের চেয়ে সেখানে বেশি।

৪ লাখ মানুষ কাজ পাবে চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে 1

২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা নেওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের অর্ধেকেরও বেশি কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে শুরুতে কর্মসংস্থানের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল মাত্র দেড় লাখ। পরে আওতা আরও বাড়িয়ে সেই লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয় চার লাখে।

একইভাবে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে শুরুতে রপ্তানি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১২৫ কোটি মার্কিন ডলার। চলতি বছরের শুরুতে সেই লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৯৬৬ কোটি মার্কিন ডলার। রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা দেড় বিলিয়ন থেকে এখন ঠিক করা হয়েছে ৩২ হাজার ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার। মিরসরাইয়ের এই অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে বছরে মাত্র ১ কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার আয়ের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু পরে পরিকল্পনার আওতা বাড়িয়ে সেটি এখন দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৬০ কোটি মার্কিন ডলারে।

বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী, চট্টগ্রামের নতুন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্পপ্লটের সংখ্যা ২৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫৩৯টি করা হচ্ছে। এর প্রতিটি প্লটই হবে তিন হাজার ৬০০ বর্গমিটারের। এছাড়া অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে নতুন করে ফায়ার স্টেশনসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, দুটি কারখানা ভবন, ফুটপাত, গাড়ি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, তিনটি আবাসিক ভবন, একটি মসজিদ এবং একটি মেডিকেল সেন্টার নির্মাণসহ কয়েকটি নতুন স্থাপনা তৈরি করা হবে।

সংশোধিত নতুন প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ১০ একর ভূমি উন্নয়ন, এক হাজার ১৩৮ দশমিক ৫৫ একর জমিতে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ, এক হাজার ১৩৮ দশমিক ৫৫ একর জমিতে নর্দমা তৈরি করা হচ্ছে। নতুন করে অফিসার্স ডরমিটরি ও স্টাফ ডরমিটরি, আবাসিক ভবন, দুটি কারখানা ভবন, মসজিদ, মেডিকেল সেন্টার, ফায়ার স্টেশন, হেলিপ্যাড ও কালভার্ট, সিকিউরিটি ও কাস্টম ভবন, সিকিউরিটি ব্যারাক, সীমানাপ্রাচীর, প্রধান ফটক ও কাস্টমস ফটকও তৈরি করা হবে।

সবমিলিয়ে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পের ব্যয় শুরুতে ধরা হয়েছিল ৭৫০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সেই ব্যয় এখন বেড়ে দাঁড়াচ্ছে এক হাজার ৩০৩ কোটি টাকায়।

এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রকল্পে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ছয় শতাধিক শিল্পপ্লটের চাহিদার কথা জানানো হয়েছে বেপজাকে। ইতিমধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৫০টি শিল্পপ্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্তত ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাবও পেয়েছে বেপজা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!