আইআইইউসিতে জামায়াতের ‘জি-৯ গ্রুপ’ এখনও তৎপর রেজিস্ট্রারের দপ্তর ঘিরে, ম্লান হচ্ছে অর্জন

শফিউরের অফিসে ‘সংসার’ পেতেছে জামায়াত

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) রেজিস্ট্রার অফিস এখনও চলছে জামায়াতে ইসলামীর গুটিকয়েক ক্যাডারের অধীনে। দেশজুড়ে পেট্রোল বোমা সন্ত্রাস, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলার আসামিদেরও কেউ কেউ এখনও ওই ক্যাম্পাস ঘিরে সক্রিয় রয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনের ওপর চালাচ্ছেন নজরদারি। মুলত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা শামসুল ইসলাম পরিচালিত আইআইইউসির ‘জি-৯ গ্রুপ’ই এখন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার শফিউর রহমানকে ঘিরে গড়ে তুলেছে অচ্ছেদ্য বলয়। তারা এখনও নীতিনির্ধারণী ইস্যুতে কাজ করছেন। যা আইআইইউসি প্রশাসনের জন্য আত্মঘাতী— এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই। জামায়াতের হাতে আইআইইউসির ভার থাকাকালে একজন পরিচালক, পাঁচ জন অতিরিক্ত পরিচালক, দুই সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালক মিলে এই জি-৯ গ্রুপটি পরিচালিত হতো।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত এক জামায়াত নেতাকে দেখা গেছে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর শামসুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ শাহজাহানের সঙ্গে। এমন ছবি এসেছে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে।

আইআইইউসি ফাইন্যান্স কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহসানুল্লাহর পিএস আতাউল্লাহকে নিয়ে রেজিস্ট্রার সম্প্রতি সফর করেছেন ঢাকা। যা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে আইআইইউসি প্রশাসন। এ দুজন কর্মকর্তা জামায়াতের আইআইইউসিভিত্তিক সেই ‘জি-৯ গ্রুপের’ সক্রিয় সদস্য।

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের হাতে গত বছরে মার্চে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের দায়িত্ব দেয় সরকার। সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাংসদ ও বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাসহ শিবির ক্যাডারদের অপসারণ শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, নাশকতা, অস্ত্র-বিস্ফোরক আইনে মামলা রয়েছে তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, অনেককে দায়িত্ব থেকে সরালেও রেজিস্ট্রার দপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এখনও দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী পরিচালক মোস্তাক খন্দকার। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাগজে-কলমে তার নাম খন্দকার মোসতাক আহমেদ হলেও ‘কৌশলী কারণে’ মোসতাক খন্দকার নামেই নিজেকে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন তিনি। জামায়াত ইসলামের সক্রিয় এই কর্মী জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা শামসুল ইসলামের ‘ঘরের লোক’ হিসেবে আইআইইউসিতে পরিচিত। সব জেনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শফিউর রহমান তার ওপর দিয়ে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। রেজিস্ট্রারের আস্থাভাজন হওয়ার দাপটে মোস্তাক খন্দকার ‘ছড়ি ঘোরান’ এই দপ্তরের সব বিষয়েই।

শুধু তাই নয়, রেজিস্ট্রার দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন মোস্তাক খন্দকারের আপন ভায়রা আইআইইউসির সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার সরওয়ার আজম ফারুকী। এছাড়া জি-৯ গ্রুপের সদস্য আমান উল্লাহকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে রেজিস্ট্রার দপ্তরের অফিসিয়াল প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, রেজিস্ট্রার অফিসের প্রায় সকল কর্মকর্তাই সক্রিয়ভাবে জামায়াতঘনিষ্ঠ লোক হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল তথ্য চলে যাচ্ছে জামায়াত নেতাদের হাতে।কৌশলে জামায়াতের হাতে তথ্য চলে যাওয়ার বিষয়টি বুঝেও নিজের ‘দাপট’ পাকাপোক্ত রাখতে জামায়াতপন্থিদের ওপরই ভর করেছেন রেজিস্ট্রার নিজেও।

সম্প্রতি আইআইইউসি রেজিস্ট্রার শফিউর রহমানের সঙ্গে ‘গোপনে’ ঢাকা সফরে যান বর্তমান ডিবিএ অফিসে কর্মরত অতিরিক্ত পরিচালক আতাউল্লাহ। আতাউল্লাহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও আইআইইউসি’র সাবেক ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহসানুল্লাহর পিএস। নতুন ট্রাস্টি বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাকে ফাইন্যান্স কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ডিবিএ অফিসে বদলি করা হয়। জামায়াতের রুকন ও দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের একনিষ্ঠ এই কর্মকর্তাকে নিয়ে রেজিস্ট্রারের গোপন ঢাকা সফর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা এ কারণে রেজিস্ট্রার শফিউর রহমানকে জামায়াতনির্ভর হিসেবেই দেখছেন।

অভিযোগ উঠেছে, মাওলানা শামসুল ইসলামসহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও আইআইইউসির নতুন প্রশাসনের অবস্থান এবং কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে প্রতিনিয়ত জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ‘রিপোর্ট’ করেন কয়েকজন কর্মকর্তা। এছাড়া মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন গোপনীয় নথিপত্রও তাদের হাত ধরে চলে যায় বাইরে।

নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রয়েছেন জামায়াত ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমীর ও বর্তমান কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর শামসুল ইসলাম। গত ১৫ মার্চ তার বড় ভাই এসএম রফিকুল ইসলামের মৃত্যুর কারণে শামসুল ইসলাম প্যারোলে মুক্তি পান। কয়েক ঘণ্টার জন্য কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পাওয়া শামসুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করতে নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে যান আইআইইউসি কর্মকর্তা মোস্তাক খন্দকার।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের হাতে আসা কয়েকটিতে ছবিতে দেখা গেছে, ওইদিন জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ শাহজাহানের পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন মোস্তাক খন্দকার। যে ছবিতে আছেন জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম। আরেকটি ছবিতে শামসুল ইসলামের সাথে থাকা বেশ কয়েকজন জামায়াত নেতার সাথেও মোস্তাক খন্দকারকে দেখা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শামসুল ইসলামসহ জামায়াতের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব মামলা পরিচালনার যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকেই। অথচ এই দপ্তরের প্রধান রেজিস্ট্রার শফিউর রহমান মোস্তাক খন্দকারকেই দায়িত্ব দেন যেকোনো বিষয়ে। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির গোপনীয় যাবতীয় বিষয় সহজেই চলে যাচ্ছে জামায়াত নেতাদের কাছে।

একাধিক শিক্ষক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ২০১৩-২০১৪ সালের দিকে আওয়ামী লীগ সরকার পতন ঘটানোর নামে সীতাকুণ্ডে মহাসড়কে মাসের পর মাস যারা পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল, আইআইইউসির কুমিরা ক্যাম্পাস ছিল সেই নাশকতাকারীদের প্রধান ঘাঁটি। এখানকার বেশ কিছু কর্মকর্তা ও শিক্ষকের নেতৃত্বে জামায়াত-শিবির নাশকতা চালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল মাসের পর মাস।

তারা আরও বলেন, জামায়াতের নায়েবে আমীর যখন আইআইইউসি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন জি-৯ গ্রুপ খ্যাত একটি গ্রুপ ছিল তার। জামায়াতের রুকন পর্যায়ের ৯ জন আইআইইউসির কর্মকর্তা মিলেই ছিল এই জি-৯ গ্রুপ। শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আজম ওবায়দুল্লাহর নেতৃত্বাধীন এই জি-৯ গ্রুপের সদস্যরাই ছিলেন আইআইইউসি প্রশাসনের অলিখিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্যকেও নিয়ন্ত্রণ করতো এই গ্রুপটি। এই গ্রুপের ওপরের সারির নেতা মোস্তাক খন্দকার ও আতাউল্লাহ। একজন পরিচালক, পাঁচ জন অতিরিক্ত পরিচালক, দুই সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালক মিলে এই জি-৯ গ্রুপটি পরিচালিত হতো। তারা এখনও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দায়িত্বে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অধীনেই এই জি-৯ গ্রুপের কিছু সদস্য এখনো নীতিনির্ধারণী ইস্যুতে কাজ করছেন। যা আইআইইউসি প্রশাসনের জন্য আত্মঘাতী।

তারা বলছেন, জামায়াতের আর্থিক ও রাজনৈতিক ঘাঁটিকে ভাঙতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা নদভীসহ সংশ্লিষ্টদের। তাদেরকে জামায়াতের পক্ষ থেকে নানা হুমকিও দেওয়া হয়। কিন্তু সেই রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ চর্চা শুরু করে সাংসদ নদভীর নেতৃত্বাধীন প্রশাসন। অথচ জামায়াতের চিহ্নিত ব্যক্তিদের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রেখে দিয়েছেন রেজিস্ট্রার দপ্তর। এটি প্রশাসনের জন্য হুমকিস্বরূপ।

জামায়াত নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আইআইইউসির সহকারী পরিচালক মোস্তাক খন্দকার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। আপনার কোনো কিছু জানার থাকলে রেজিস্ট্রার স্যারের কাছ থেকেই জেনে নিন।’

আইআইইউসি সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা শামসুল জি-৯ গ্রুপের অন্যতম সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের উপ পরিচালক মাহমুদুল আলম, রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. আমান উল্লাহ, সহকারী পরিচালক খন্দকার মোসতাক আহমেদ প্রকাশ মোসতাক খন্দকার, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার সরওয়ার আজম ফারুকী, সাবেক ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক আহসানুল্লাহ’র পিএস এবং বর্তমান বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ (ডিবিএ) অফিসে কর্মরত উপ পরিচালক মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, অতিরিক্ত পরিচালক মামুনুর রশীদ, স্টাফ ডেভেলপমেন্ট এন্ড স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ডিভিশনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এরশাদুল হক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অফিসে কর্মরত অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ইদ্রিস চৌধুরী। এদের বেশিরভাগই বর্তমান রেজিস্ট্রার শফিউর রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে আইআইইউসি প্রশাসনে।

আইআইইউসির অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ডেপুটি ডিরেক্টর মর্যাদার আমানউল্লাহকে ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে ঘোষণা দেন রেজিস্ট্রার শফিউর রহমান। যদিও আইআইইউসিতে ডেপুটি রেজিস্ট্রারের কোনো পদ ছিল না। এ ঘটনার পর আইআইইউসি কর্মকর্তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। রেজিস্ট্রারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে জামায়াতের এই ঘনিষ্ঠ নেতাকে রেজিস্ট্রার এই পদবি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই জামায়াতের জি-৯ গ্রুপের সদস্য মোহাম্মদ ইদ্রিস চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের পিএস পদ থেকে সরিয়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে বদলি করা হয়। মামুনুর রশীদকে স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন থেকে বদলি করা হয় বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে। তার স্ত্রী চট্টগ্রামে জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ইসলামী সংস্থার চট্টগ্রাম মহানগরের নেত্রী।

এছাড়া মোসতাক খন্দকারকে পাবলিক রিলেশন দপ্তর থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু মানবিক কারণে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। পরে সুযোগ বুঝে জামায়াতের আস্থাভাজন মোসতাককে নিজের দপ্তরেই বদলি করে নিয়ে আসেন রেজিস্ট্রার শফিউর।

পাশাপাশি জামায়াতের নায়েবে আমীর ও আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের মাওলানা শামসুল ইসলামের পিএস এরশাদুল হককে স্টাফ ডেভেলপমেন্ট এন্ড স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ডিভিশনে বদলি করা হয়। এছাড়া পারচেজ এন্ড প্রকিউরমেন্ট ডিভিশনের দায়িত্ব থেকে জামায়াতের জি-৯ গ্রুপের অন্যতম সদস্য মাহমুদুল আলমকে নতুন প্রশাসন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে বদলি করে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে আইআইইউসির রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ শফিউর রহমানের মুঠোফোনে বেশ কয়েক দফা কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে বিস্তারিত বিষয় উল্লেখ করে মন্তব্য জানতে চেয়ে মেসেজ দেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া মেসেজ দেখার পরও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!