৪ বছরেই আকবরশাহের ‘গ্যাং লিডার’ লাল সাগর, মামলা মাত্র ১৫টি

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের হাতে আটক হয়েছেন আকবরশাহ থানা এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার শাকিল হাসান সাগর ওরফে লাল সাগর এবং তার আরেক সহযোগী মোহাম্মদ মহসিন। গ্রেপ্তারের পর আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগের দিনই লাল সাগরের আরেক সহযোগী আরিয়ান আটক হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির উপ-কমিশনার (ডিবি পশ্চিম ও বন্দর জোন) মনজুর মোর্শেদ শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘নগরীর তালিকাভুক্ত কিশোর গ্যাং লিডার শাকিল হাসান ওরফে লাল সাগরকে তার এক সহযোগীসহ আমরা আকবরশাহ সি-ওয়ার্ল্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করি। সাগরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে ১৫টি এবং সহযোগী মহসিনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে।’

শুক্রবার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ধারালো ছুরি, একটি চাপাতি, হাতুড়ি, স্ক্রু ড্রাইভার ও প্লাস উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্বদানকারী পুলিশ পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন খান জানান, ‘২০১৬ সালে অপরাধজগতে প্রবেশ সাগরের। তার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কয়েকজন সহযোগীকে সাথে নিয়ে একটি বাসায় ঢুকে সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ মালামাল কেড়ে নেয়। পরে ওই ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সাগরের কাছ থেকে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে। এছাড়াও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ ছিল প্রথম মামলায়।’

আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহির হোসেন জানান, ‘শাকিল হাসান সাগর প্রকাশ লাল সাগরের কিশোর গ্যাং রয়েছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। সাগর আটক হওয়ার আগের দিন তার আরেক সহযোগী আরিয়ানকে আকবরশাহ থানা পুলিশ আটক করেছিল অস্ত্র ও কার্তুজসহ। আমরা কিশোর গ্যাংয়ের অন্যান্য সদস্যদেরও আটকের চেষ্টা করছি।’

শাকিল হাসান সাগর বর্তমানে আকবরশাহ বিশ্ব কলোনির বাসিন্দা। তিনি ফেনী জেলার সদর উপজেলার শর্শদী গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!