সড়কপথে ভারতে পালালেন বায়েজিদের মহিউদ্দিন দিদার ও মিল্টন

প্রশাসনের নজরদারি এড়িয়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামীর রিপন হত্যা মামলার প্রধান তিন আসামি আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, দিদারুল আলম ও মিল্টন বড়ুয়া।

রিপন হত্যার দুইদিন পরে ২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সড়কপথে সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান তারা। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে পুলিশ বলছে, রিপন হত্যামামলার আসামিদের বিষয়ে সীমান্তসহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় ‘অ্যালার্ট’ দেওয়া আছে। তাদের ভারতে চলে যাওয়ার বিষয়ে কোন তথ্য নেই পুলিশের কাছে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে বিস্তারিত জানতে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় যোগাযোগ করা হলে বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এরকম কোন তথ্য নেই। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।’

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর ২০১৯) রাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর বাসা থেকে মেজবান শেষে ফেরার পথে শেরশাহ বাজার সংলগ্ন ফরিদ কমিশনারের বাড়ির পেছনে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন রিপন। কাউন্সিলর বাবুর অনুসারী ছিলেন রিপন।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহত রিপনের ভাই মোহাম্মদ আজাদ বাদি হয়ে মহিউদ্দিন, দিদারসহ ২৮ জনের নামসহ ১০-১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার রাতেই মোমিন (৩১), শওকত (২১) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় এমদাদ (৩৬) নামে আরও একজন। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মো. আনোয়ার (২৫) ও জাহাঙ্গীর (৩২) নামে আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বায়েজিদের শীর্ষ চাঁদাবাজ আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও দিদারুল আলম— জন্মদিনের অনুষ্ঠানে,  একে-২২ হাতে দিদার (ডানে)
বায়েজিদের শীর্ষ চাঁদাবাজ আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও দিদারুল আলম— জন্মদিনের অনুষ্ঠানে, একে-২২ হাতে দিদার (ডানে)

দিদারুল আলম, আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মিল্টন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বায়েজিদ এলাকায় ভূমিদস্যুতা, পোশাক শিল্প কারখানায় চাঁদাবাজি, ঝুট কাপড়ের ব্যবসা, রাস্তার পাশে হকারদের থেকে চাঁদা নেওয়াসহ নানা অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া নগরে কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগেও র‍্যাব ও পুলিশের তালিকায় নাম আছে আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!