স্বামী চট্টগ্রামে, ধর্ষিত হয়ে রাজশাহীতে গৃহবধূর আত্মহত্যা

রাজশাহীর বাসায় দুই সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে কাজের সূত্রে চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন কামাল হোসেন। এই সুযোগে এক কাউন্সিলের ভাইয়ের ছেলে ধর্ষণ করেন কামাল হোসেনের স্ত্রীকে। আশেপাশের লোকজন ধর্ষক যুবককে হাতেনাতে ধরলেও কাউন্সিলর উল্টো ওই গৃহবধূকে বকাঝকা করে ধর্ষক ভাইপোকে ছেড়ে দেন। এরপর ক্ষোভে রাতে বাড়ি ফিরে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কাঁকনহাট পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের ঘিয়াপুকুর মহল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার শিকার ওই গৃহবধূ হলেন একই এলাকার কামাল হোসেনের স্ত্রী সখিনা বেগম (৩৫)। দুই সন্তান ও স্ত্রী রেখে কাজের সূত্রে চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন কামাল হোসেন। অন্যদিকে ধর্ষক মফিজুল ইসলাম রাজশাহীর কাঁকনহাট পৌরসভার কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশুর ভাই আতাউর রহমানের ছেলে।

এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম থেকে রাজশাহীতে ফিরে ওই গৃহবধূর স্বামী ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওইদিনই কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে গেছেন ধর্ষক মফিজুল ইসলাম। ধর্ষককে হাতেনাতে ধরা দুই গ্রামবাসী আকবর আলী ও মেরাজুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই গৃহবধূর সঙ্গে প্রতিবেশী মফিজুল ইসলামের পরকীয়া চলছিল। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে মফিজুল ইসলাম ওই গৃহবধূর ঘরে ঢোকেন। ওই সময় একই গ্রামের বাসিন্দা আকবর আলী ও মেরাজুল ইসলাম তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তাদের দুজনকেই স্থানীয় কাউন্সিলর লুৎফর রহমান বিশুর কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কাউন্সিলর উল্টো ওই গৃহবধূকে বকাঝকা করে ধর্ষক মফিজুলকে ছেড়ে দেন। এরপর ক্ষোভে-অপমানে রাতে বাড়ি ফিরে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

রাজশাহীর কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল লতিফ বলেন, ‘ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কাউন্সিলর পুলিশকে না জানিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়ার কারণে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!