আওয়ামী লীগ নেতার ভাইসহ বিএনপির ৩০ কর্মী চট্টগ্রামের কারাগারে

‘নাশকতার মামলা’র আসামি

চট্টগ্রামের দুই থানায় দায়ের হওয়া ১৩টি নাশকতা মামলায় বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীকেই কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর মধ্যে চসিক নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর আপন ভাইও রয়েছেন।

২০১৮ সালে নগরের বায়েজিদ ও চান্দগাঁও থানায় দায়ের হওয়া মোট ১৩টি নাশকতা মামলায় বিএনপির এসব নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠান আদালত। তবে একই মামলায় বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় অন্য ১৫ জনকে জামিন ও ২৫ জনকে ১০ দিনের সময় দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানোর আদেশপ্রাপ্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন শাহাদাত, রাশেদ, আবদুর রশিদ টিটু, আবদুল্লাহ আল হারুন, মামুন আলম, হিরু, আজগর, রুবেল, লুৎফুর রহমান, মহিউদ্দীন মুকুল, সেলিম, রফিক, শিহাব, দিলশাদ, মো. আবছার উদ্দিন, লিয়াকত আলী জসিম, মহসিন, বাহাদুর, নেজাম উদ্দিন।

এদের মধ্যে নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইব্রাহিমের বড় ভাই বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তিনি জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়াও মো. ইব্রাহিমের আরেক ভাই ইসমাইলও নাশকতা মামলার আসামি জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান শুনানি শেষে ২০১৮ সালের এক মামলায় বিএনপির ১১ কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।

আদালত এই মামলার ৩০ আসামির মধ্যে ১১ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে যাওয়া এই ১১ জন হলেন বিএনপি কর্মী মো. সোহেল, মো. রিদুয়ান, মো. বাদশা, মো. আলমগীর, মো. হামিদ, মো. মহিউদ্দিন, মো. সরোয়ার, মো. সেলিম, মো. মোতালেব, মো. মাহাবু ও নুরুল আলম।

এসব মামলায় আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাইকোর্টের জামিনে থাকা বায়েজিদ ও চান্দগাও থানার মামলায় আত্বসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত ১৫ জনকে জামিন দিয়ে ৩০ জনকে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘একই মামলায় ২৫ জন নেতাকর্মীকে ১০ দিনের সময় দিয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে। বায়েজিদ থানার ২৮ জন, চান্দগাঁও থানার ২ জন মোট ৩০ জনের জামিন হয়নি।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!