বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেন্টমার্টিনের পশ্চিম সৈকত এলাকা হতে আরো দুই পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। গত মঙ্গলবার ট্রলারডুবির পর ঘটনাস্থলেই ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও গত সাতদিনে আরো ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশনের কমান্ডার লে. নাঈম উল হক সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম প্রতিদিনিকে জানান, সেন্টমার্টিনের পশ্চিম সৈকত এলাকায় ভাসমান অবস্থায় আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর বয়সী দুইজন পুরুষের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।
উদ্ধারকৃত মরদেহ দুটি পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য টেকনাফ থানায় প্রেরণ করা হয়েছে। উদ্ধার ২১ মরদেহের মধ্যে ১৪ নারী, ৪ জন পুরুষ ও ৩ জন শিশু। এদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ১৩৮ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার সেন্টমার্টিনের দক্ষিণে পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে পানিতে ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১৫ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। একই সময় ৭৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।
ট্রলারডুবির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক লিয়াকত আলী জানান, এ ঘটনায় ১৯ জন দালালকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করে কোস্টগার্ড। ওই মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। উদ্ধার ২১ মৃরদেহের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় শনাক্ত করেছে স্বজনরা। তারা সবাই রোহিঙ্গা।
এসএইচ