সেতু ভেঙে পড়ায় ৮ বছর ধরে দুর্ভোগে ১০ হাজার মানুষ

খালের ওপর প্রায় ২০-২৫ ফুট বাঁশের সাঁকো। ইছামতি নদী থেকে আসা প্রবল স্রোতে ও বৃষ্টির পানিতে খালের উৎসমুখের দুই পাশের মাটি ধসে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ সাঁকো পার হচ্ছেন। অথচ, সাঁকোর নিচেই নির্মাণ করা হয়েছিল একটি সেতু। যেটি আট বছর আগে ভেঙে পড়ে। চট্টগ্রামের আনোয়ারার সিকদার হাটে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম কান্দুরিয়া খালের এই সেতুটি আর ঠিক হয়নি এতো বছরেও। এতে চাতরী ও আনোয়ারা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

পানির ঢলে ভেঙে যাওয়া সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু নানা আবেদন-নিবেদনেও কাজ হচ্ছে না। ভুক্তভোগীরা জানান, দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া রোগিদের একমাত্র মাধ্যম সিকদার হাট সড়ক। সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কান্দুরিকা খালটি ইছামতি নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। ২০১২ সালে পানির ঢলে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকাবাসী সেখানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন।

ওই সাঁকো দিয়ে আনোয়ারা ও চাতরী ইউনিয়নের অন্তত দশ হাজারের অধিক মানুষের চলাচলে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। দীর্ঘদিন ধরে সেতু না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। দীর্ঘদিন ধরে তুটি পুনর্নির্মাণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংসদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও দুই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, জরুরি চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া রোগিদের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে এ সড়ক।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গেলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রতিনিধির সাথে কথা স্থানীয় খিলপাড়ার বাসিন্দা জগদীশ শীলের। তিনি বলেন, এ কালভার্টের জন্য আমাদের উপজেলা সদরে যেতে সময় লাগে এক ঘন্টার মত। অনেক সময় সাঁকো পার হতে গিয়ে এলাকার স্কুলগামী খুদে শিক্ষার্থীসহ বৃদ্ধ লোকজন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ছাড়া অসুস্থ লোকজনকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় সাঁকো পার হতে কষ্টের শেষ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম বলেন, কালভার্টটি ভেঙে পড়ার পর আরও একটি কালভার্ট নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু খালের স্রোত ও বর্ষা মৌসুমে পানি ঢলের কারণে ভাঙনের কথা বিবেচনায় রেখে এ জায়গায় একটি গার্ডার ব্রিজের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পর পরই প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!