সেই পূর্ণিমার রহস্যের মৃত্যু নিয়ে খুনের মামলা, বাড়িওয়ালীসহ আসামি ৬

রাঙামাটিতে কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমার ‘রহস্যজনক’ মৃত্যুর ১২ দিন পর আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) পূর্ণিমা চাকমার মামাতো ভাই পলাশ চাকমা বাদী হয়ে রাঙামাটির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারহানা ইয়াসমিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় পূর্ণিমা চাকমার বাড়িওয়ালী নিকেতা দেওয়ান (৩৫), মল্লিকা দেওয়ান (৫৫) এবং অঞ্জলি চাকমা (৫৫) প্রকাশ গান্ধীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিবরণ চাকমা জানান, ‘পূর্ণিমা চাকমার মামাতো ভাই আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কোতোয়ালী থানার ওসি নির্দেশ প্রদান করেছেন।’

এদিকে, এ প্রসঙ্গে জানতে রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার ওসি মো. কবির হোসেনের মোবাইলে একাধিবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

পূর্ণিমা চাকমার মামাতো ভাই পলাশ চাকমা জানান, ‘বোনকে হত্যার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। তাই বোন হত্যার বিচারের জন্য আদালতে মামলা দায়ের করেছি।’

প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমাকে অচেতন অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় পূর্ণিমার মৃত্যুর ঘটনা শুনে উধাও হয়ে যান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ব্যক্তিরা।

পরে ৩০ অক্টোবর তার লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। কলেজছাত্রী পূর্ণিমা চাকমা জেলার জুরাছড়ি উপজেলার ৪ নম্বর দুর্গম দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বগাখালী এলাকার জুমিয়া সাধন চাকমার মেয়ে। পূর্ণিমা রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।

পড়ালেখার জন্য জেলা শহরের রাজবাড়ী এলাকার মল্লিকা দেওয়ানের বাসায় থাকতো। পূর্ণিমাকে মল্লিকা দেওয়ানের বাসায় রাখার ব্যবস্থা করেন দেন জুরাছড়ি উপজেলার বাসিন্দা অঞ্জলী চাকমা (গান্ধী)।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!