সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকায় আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে হোটেল ম্যানেজারসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার কেরানীহাট রিহ্যাব আবাসিক হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন হোটেল ম্যানেজার সাতকানিয়া পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ড ছগিরা পাড়া এলাকার মো. মফিজুর রহমানের ছেলে সাহাব উদ্দিন(২১), বান্দরবান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মোহাম্মদপুর এলাকার মো. সেকান্দারের ছেলে মো. লিটন(২৪) ও এক নারী।
থানা সূত্রে জানা যায়, এসআই মশিউর রহমান খান, এসআই মাহবুব আলম, মো. জিহাদ আলী ও এএসআই মো. আরিফুল ইসলাম সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে মাদক বিরোধী নিয়মিত অভিযান পরিচালনাকালে রিহ্যাব হোটেলে পতিতাবৃত্তির চালানোর গোপন সংবাদ পৌঁছালে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই আবাসিক হোটেলের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম তলায় অভিযান চালিয়ে খদ্দেরসহ উপরোক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৗশলে রিহ্যাব আবাসকি হোটেলের মালিক উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ড ছোট ঢেমশা মেহের আলী মুন্সির বাড়ি এলাকার মৃত ইউনুছের ছেলে আবদুল আজিজ গা ঢাকা দেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, দীর্ঘদিন রিহ্যাব আবাসিক হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারের যোগসাজসে বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী সংগ্রহ করে ওই হোটেলে পতিতাবৃত্তির ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
যোগাযোগ করা হলে সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সফিউল কবীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘কেরানীহাট রিহ্যাব আবাসিক হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারের যোগসাজসে পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী সংগ্রহ করে হোটেলে ভেতরে পতিতাবৃত্তির অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। প্রথম দিকে এ খবর আমাদের কাছে আসলে আমরা হোটেল রিহ্যাব কর্তৃপক্ষের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখি। গত শনিবার রাতে পতিতাবৃত্তি চলাকালে গোপন সংবাদ থানায় পৌঁছালে অভিযান পরিচালনা করে ১ নারী, ১ খদ্দের ও হোটেল ম্যানেজারসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।’
এসএস