‘শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল দিয়াজকে’

‘শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল দিয়াজকে’ 1নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দিয়াজ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র এএসপি হুমায়ুন কবির। দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত শেষে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে প্রথম ময়নাতদন্তে দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
পুনঃময়নাতদন্ত কমিটির প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদকে উদ্বৃত করে এএসপি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘‘আমরা এখনও পুনঃময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাইনি। তবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক দিয়াজ হত্যাকে ‘শ্বাসরোধজনিত হত্যামূলক’ বলে অবহিত করেছেন। রিপোর্ট হাতে আসার পর এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারবো।’
পুনঃময়নাতদন্ত কমিটির প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমরা রিপোর্ট জমা দিয়ে দিয়েছি। পরবর্তী বিষয়গুলো মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেখবেন।’ রিপোর্টে হত্যার কারণ হিসেবে কী উল্লেখ করা হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিজ বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিন দিন পর ২৩ নভেম্বর দিয়াজের মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। তাতে দিয়াজ মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ময়নাতদন্তের ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী তার ছেলের নিহত হওয়ার ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করেন। তিনি ছাত্রলীগ নেতা ও চবি সহকারী প্রক্টরসহ ১০ জনকে আসামি করে ২৪ নভেম্বর আদালতে মামলা দায়ের ও পুনঃময়নাতদন্তের আবেদন করেন।
পরে আদালতের নির্দেশে গত ১০ ডিসেম্বর কবর থেকে লাশ তুলে ফের ময়নাতদন্ত করা হয় দিয়াজের মরদেহের। গত ১ জানুয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহামুদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি টিম দিয়াজের বাসা পরিদর্শন করেন। পরে প্রথম দফা তদন্তকারী দলের সঙ্গে বৈঠক করেন এই চিকিৎসক দল। গত ৪ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডির সিনিয়র এএসপি হুমায়ুন কবিরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!