শোকের আগস্টেই মেয়র রেজাউল দলে গরহাজির, প্রশ্ন তুলতেই রেগে আগুন

শোকাবহ আগস্টে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজিত ছয়টি অনুষ্ঠানের পাঁচটিতেই উপস্থিত ছিলেন না নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। শোকাবহ আগস্টে দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলেই রেগে আগুন হয়ে মেয়র রেজাউল বলেন, ‘ফালতু প্রশ্ন করে লাভ আছে?’

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বেশিরভাগ দলীয় কর্মসূচিতে দেখা মেলেনি সম্প্রতি প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পাওয়া এই নেতার। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেও চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। তবে রেজাউলঘনিষ্ঠ নেতারা বলছেন, একদিকে মেয়রের দায়িত্ব, অন্যদিকে দলীয় দায়িত্ব পালনের চাপ তিনি নিতে পারছেন না।

১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসেই সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এ মাসে শোকের সঙ্গে নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আওয়ামী লীগসহ দলের অঙ্গসংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে। যথারীতি এবারও সারাদেশের মত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগও গভীর শোকের সঙ্গে দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনগুলো পালন করে।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচি থাকলেও সেসব কর্মসূচিতে ছিলেন না মেয়র রেজাউল। ১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচিতেও তাঁর দেখা মেলেনি।

শুধু তাই নয় ৫ আগস্ট নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানেও দেখা যায়নি মেয়র রেজাউলকে। নগর আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদককে দেখা যায়নি ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকীর দলীয় কর্মসূচিতেও। ১৪ আগস্ট চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় রেজাউলকে দেখা যায়নি।

সর্বশষে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের দলীয় কর্মসূচিতেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে ২১ আগস্ট দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন রেজাউল।

নগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েও দলীয় কর্মসূচিতে দেখা না যাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর বলেন, ‘এগুলো একটা প্রশ্ন করতেছেন নাকি? এগুলো প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি থেকে জিজ্ঞেস করেন। এগুলো কতগুলো ফালতু প্রশ্ন করে লাভ আছে?’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের কারণে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী হয়তো সব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। তবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের মধ্যেও দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারলে ভাল। ডলফিন দোভাষও একটি দায়িত্বে আছেন। তিনি দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।’

আরএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!