নৌকার বিদ্রোহী/ শাস্তি পাবেন কক্সবাজারের ৫ আওয়ামী লীগ নেতা

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। আগামী ২৮ জুলাই থেকে দলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না তার কারণ চেয়ে এসব চিঠি পাঠানো হবে।

দলের সিদ্ধান্ত অনুসারে কক্সবাজার সদর উপজেলা, টেকনাফ, রামু, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলার পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতা শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন রামুতে সোহেল সরওয়ার কাজল, মহেশখালীতে শরীফ বাদশা এবং চকরিয়ায় ফজলুল করিম সাঈদী।

শুধু আওয়ামী লীগের নয়, সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের যেসব নেতা উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না—তা জানতে চেয়ে পাঠানো হবে কারণ দর্শানোর নোটিশ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন এবং যারা বিদ্রোহের মদদ দিয়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘২৮ জুলাই থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ যাবে। কাউকে বহিষ্কারের নোটিশ দেওয়া হবে, আবার কাউকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। যারা জাতীয় নির্বাচনে বিদ্রোহ করেছেন, ধরে নিতে পারেন আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু বহিষ্কার করাই না, দলীয় শাস্তি অন্যভাবেও দেওয়া যায়। তবে এবারের জাতীয় নির্বাচনে বিদ্রোহীর সংখ্যা খুবই কম।’

শাস্তির মুখোমুখি হতে যাওয়া নেতারা হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য নুরুল আবছার, টেকনাফে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর আলম, রামুতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল, মহেশখালীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরীফ বাদশা এবং চকরিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী।

কক্সবাজার সদর উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল আবছার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েলের কাছে হেরে যান তৃতীয় স্থান নিয়ে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃতীয় স্থান পান। তবে সেখানে নির্বাচিত হয়েছেন আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম।

অন্যদিকে রামু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও রামু উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজুল আলমকে হারিয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল সরওয়ার কাজল। মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহিমকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ বাদশা। চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী। তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে পরাজিত করেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!