মোহরার রাজপথে লাল সবুজে ‘মুজিব সৈনিক’

বিজয় দিবসে পথে পথে ঘুরেছে সেই পতাকার রঙের লাল-সবুজের মিছিল। লাল সবুজের টি-শার্ট পরে সারি সারি মোটর বাইক, হাতে জাতীয় পতাকা। পেছনেও মিনি ট্রাকের সারি। সবার মুখে ছিল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।

একটি পতাকার জন্য হয়েছিল প্রাণক্ষয়ী যুদ্ধ। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল লাল সবুজ পতাকা। ৪৯তম মহান বিজয় দিবসের দিন চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার মোহরার রাজপথ দাপিয়েছে ‘মুজিব সৈনিক’ নামের একটি সংগঠন। যেই সংগঠনটি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ প্রচার, লালন ও পালনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বিজয় দিবসের দিনে সকাল থেকে মোহরার জেটি রোড এলাকায় জমায়েত হতে থাকে মুজিব আর্দশের সৈনিকেরা। ৪০০জনের অধিক মুজিব আদর্শে অনুপ্রাণিত তরুণ সমবেত হয় সেখানে। এরপর সকাল ১১টার পর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মোটর বাইক ও ট্রাক যাত্রা। সামনে মোটর সাইকেলে ৪জনের হাতে বিশালাকৃতির জাতীয় পতাকা। প্রত্যেক মোটর সাইকেল যাত্রীর হাতে ছোট ছোট পতাকা। এরপর মিনি ট্রাকেও পতাকা হাতে উচ্চারিত হতে থাকে ‘জয় বাংলার’ স্লোগান। ‘জয় বাংলার’ স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় মোহরার রাজপথ।

মোহরার রাজপথে লাল সবুজে ‘মুজিব সৈনিক’ 1

বিজয় মিছিলটি ইস্পাহানি জেটি রোড থেকে শুরু হয়ে মৌলভী বাজার-কামালা বাজা-কাজীর হাট-কাপ্তাই রাস্তার মাথা-গোলাপের দোকান-দীঘিরপাড়-এ কে খান বাড়ি-উত্তর মোহরা-ওয়াসা বালুরটাল-মৌলভী বাজার হয়ে আবারও কালুরঘাট ফরেস্ট এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে দুপুরের মধাহ্নভোজ শেষে শেষ হয় বিজয় দিবসে মুজিব সৈনিকের কর্মসূচি।

মিছিলে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মুজিব সৈনিকের সভাপতি আসফাক হোসাইন খান, সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম তানিম, অমিত চৌধুরী, হারুন অর রশীদ রাজেস, মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান কানন, শাকিল হায়াত চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রুবেল। এসময় সংগঠনের অন্তত চার শতাধিক মুজিব আদর্শে অনুপ্রাণিত সৈনিক অংশ নেন।

এডি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!