মিরসরাইয়ে মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তিন চাকার অবৈধ যান

সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশে অবাধে চলাচল করছে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ও রিক্সা ভ্যান। মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচলের ফলে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ লোকজন। পুলিশের অভিযানের কারণে কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবারও বেড়েছে এসব গাড়ির দৌরাত্ম।

সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর লক্ষ্যে সরকার ৩ বছর আগে মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, রিক্সাভ্যান, অটোটেম্পো ও অযান্ত্রিক যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ হলেও মিরসরাইয়ে যেন এর ব্যতিক্রম। এতে করে দুর্ঘটনা বাড়ার পাশাপাশি হচ্ছে বিদ্যুতের অপচয়ও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ‘মহাসড়ক সংশ্লিষ্ট বাজারগুলোতে ব্যাটারচালিত অটোরিক্সার আনাগোনা বেশি। ইউটার্ন ব্যবহার না করে উল্টোপথে চলার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মহাসড়কের বড়তাকিয়া রেল স্টেশন সড়কের মুখে দেখা গেছে, ২০ মিনিটের মধ্যে মহাসড়কের উভয় লেনে বড়তাকিয়া বাজার থেকে প্রায় ১০-১৫টি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা যাতায়াত করেছে। মহাসড়কে ইউটার্ন দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে হওয়ায় তারা একই পথে আসা যাওয়া করে।

সর্বশেষ বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বড়তাকিয়া এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন আহত হয়েছে। মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ছাড়াও বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ যন্ত্রচালিত নসিমন-করিমনের চলাচল। ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার দাম কম ও ভাড়া বেশি হওয়ায় অনেকে এটিকে নতুন ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে দেশের মূল্যবান সম্পদ বিদ্যুৎ।

বারইয়াহাট পৌরবাজার, মিরসরাই পৌরবাজার, বড়তাকিয়াবাজার, নিজাপুর বাজারে মহাসড়কের উপরেই পার্কিংয়ে রাখা হয় ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা।

মহাসড়ক ছাড়াও উপজেলার বারইয়াহাট-রামগড় সড়ক, বারইয়াহাট-শান্তিরহাট সড়ক, মিঠাছড়া-বামনসুন্দর দারোগাহাট সড়ক, ঠাকুর দিঘী-ঝুলনপোল সড়ক, জোরারগঞ্জ-আবুরহাট সড়ক, জোরারগঞ্জ-টেকেরহাট সড়ক, মিরসরাই পৌরবাজার-কালামিয়ার দোকান, মিরসরাই পৌরসভার-ব্র্যাক খামার, নিজামপুর-ভোরেরবাজার সড়ক, বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়ক, বড়দারোগাহাট-কমর আলী সড়কে এসব গাড়িগুলো বেশি চলাচল করে বলে জানা গেছে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল সরকার বলেন, ‘মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা বা নছিমন-করিমন (ভটভটি) দেখলে আমরা আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। মহাসড়কের অবৈধ যান চলাচল বন্ধে তদারকি বাড়ানো হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!