মিঠুন ঝড় সামলিয়ে চট্টগ্রামকে জেতালেন ইমরুল

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ

সপ্তাহ তিনেক আগে ভারতের মাটিতে চোখেমুখে রীতিমতো সর্ষেফুল দেখেছেন ইমরুল, মিঠুন- দুজনেই। টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন না ইমরুল। একটি ম্যাচ খেলে ২৭ রান করেছিলেন মিঠুন। কিন্তু এরপর টেস্ট সিরিজে হতশ্রী ব্যাটিং করে নিজেদের সামর্থ্যের ওপরেই যেন বড় এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন জুড়ে দিয়েছিলেন দুজনে।

এ দুজনের বাজে পারফরম্যান্সের পর তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারেও মোড়ক বসিয়ে দিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু দেশে ফিরতেই যেন সকল সমালোচকদের জবাব দিয়ে দিলেন ইমরুল ও মিঠুন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচেই দুজন খেললেন ঝকঝকে দুটি ইনিংস।

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের চিরচেনা উইকেটে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বোলারদের ইচ্ছেমতো পিটুনি দিয়েছেন মিঠুন। দলের অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ভিড়ে তিনি ফিফটি করেন মাত্র ৩০ বলে। যেখানে ছিলো না কোনো চারের মার। তবে নাসুম আহমেদের এক ওভারেই ৩ ছক্কাসহ হাঁকান মোট ৫টি ছক্কা। আর ইনিংস শেষে তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৮৪ রান করে।

মিঠুন ঝড় সামলিয়ে চট্টগ্রামকে জেতালেন ইমরুল 1
মিঠুনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর ইমরুল কায়েসের ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিংয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

মিঠুনের ইনিংসে ভর করে সিলেটের করা ১৬২ রান তাড়া করতে নেমে ইমরুল খেলেছেন ক্যালকুলেটিভ ইনিংস। সিঙ্গেল-ডাবলসের সঙ্গে বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারির মিশেলে মাত্র ২৯ বলে ২ চার ও ৪ ছয়ের মারে তুলে নেন আসরে নিজের প্রথম ফিফটি। দলের জয় নিশ্চিত করে আউট হওয়ার আগে খেলেন ৩৮ বলে ৬১ রানের ইনিংস।

দর্শক নেই, উল্লাস নেই- একপ্রকার নিরুত্তাপ আবহ। এমন ম্যাচে মিঠুনের সৌজন্যে ১৬২ রান তোলে সিলেট থান্ডার। জবাবে হোঁচটে শুরু করা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ম্যাচে ফেরান ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। এক ওভার অক্ষত রেখেই তারা এনে দিয়েছেন ৫ উইকেটের জয়।

বুধবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট থান্ডার ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তাতে প্রথমে ব্যাট করা সিলেট দ্বিতীয় ওভারেই হারায় রনি তালুকদারের উইকেট। ৮ বলে ৫ রান করে আউট হয়েছেন এ ওপেনার। জনসন চার্লসকে নিয়ে ৪৬ রান তুলে ধাক্কা সামলান মিঠুন। এই রানে মাঝে ৩৫ একাই তুলেছেন চার্লস। ২৩ বলের মধ্যে ৭বার বল গড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করার পর নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হন ক্যারিবীয় ওপেনার।

জনসন আউট হওয়ার পর মাত্র ৪ রান করে আউট হন জীবন মেন্ডিস। পরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে ৯৬ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন মিঠুন। বড় জুটিতে মোসাদ্দেকের অবদান সবে ২৯। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ১৬২ রান তোলে সিলেট।

ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত হোঁচট খেয়েছে চট্টগ্রাম। ৬৪ রানেই হারায় আভিস্কা ফার্নান্দো, জুনায়েদ সিদ্দিকী, নাসির হোসেন ও রায়ান বার্লের উইকেট। হার দেখতে থাকা চট্টগ্রামকে নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ফেরান ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। দুজনের ৮৬ রানের জুটিতে হারতে থাকা ম্যাচে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।

৬১ রান করে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন ইমরুল সাজঘরের পথে, দল তখন জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে। সেখানে ২৯ বলে ৪৮ রান তুলে এক ওভার বাকি থাকতেই চট্টগ্রামকে জয় এনে দেন ওয়ালটন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!