মারমা-বাংলা অভিধান প্রকাশ হল এই প্রথম

পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমা সম্প্রদায়ের ভাষা যাতে অন্য ভাষাভাষীরা সহজে বুঝতে পারে, সেই উদ্দেশ্যে বান্দরবানে মারমা-বাংলা অভিধান প্রকাশিত হয়েছে। অভিধানের লেখক জুয়েল বড়ুয়া।

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালে বান্দরবানের মাস্টার গেস্ট হাউসের সভাকক্ষে অভিধানের মোড়ক উন্মোচন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মারমা ভাষার লেখক ক্য শৈ প্রু খোকা।

অনুষ্ঠানে অভিধানের লেখক জুয়েল বড়ুয়া বলেন, দেশে প্রথমবারের মত মারমা ভাষাকে বাংলায় রূপান্তর করে অভিধান প্রকাশিত হলো। এর মাধ্যমে মারমা ভাষার প্রতিটি শব্দের বাংলা উচ্চারণ করা ও অর্থ বোঝা সহজ হবে।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মারমা ভাষার লেখক ক্য শৈ প্রু খোকা বলেন, মারমা ভাষাকে সহজে বাংলায় রূপান্তর করা এবং সবাই যাতে ভাষাটি বুঝতে পারে সে লক্ষ্যে অভিধানটি প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিধান আমাদের সবার প্রয়োজন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে ও ভাষা সংস্কৃতি এবং কৃষ্টি রক্ষায় বর্তমান সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভাষা রক্ষা ও প্রচার প্রসারে কাজ করতে হবে। এতে আগামী প্রজন্ম সঠিক তথ্য ও ইতিহাস সর্ম্পকে জানতে পারবে।

অনুষ্ঠানে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান থোয়াইচ প্রু মাস্টার, ডা. মং উসাথোয়াই, মানবাধিকার কর্মী ডনাই প্রু নেলী, অংচমং মারমা, সাংস্কৃতিক কর্মী ক্যসামং, পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা উচিংমংসহ বিভিন্ন লেখক, কবি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!