বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিশোরীর ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ১
স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ইয়াছমিন আক্তারকে (১৯) উত্যক্ত করতো সহপাঠী নুরুল কাদের (২২)। তিন বছর আগে এসএসসি পাশ করে দু’জন। ইয়াছমিন ভর্তি হয় চট্টগ্রাম নগরীর মহসিন কলেজে। আর নুরুল চলে যায় বিদেশে ।
তিন মাস আগে নুরুল বিদেশ থেকে ফিরে ইয়াছমিনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। বর্তমানে ইয়াছমিন এইচএসসি পাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইয়াছমিনের ইচ্ছা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে, যা তার পরিবারেরও ইচ্ছে। ফলে ইয়াছমিনকে এখন বিয়ে দিতে অসম্মতি জানায় তার পরিবার। এ কারণে নুরুল ইয়াছমিনকে প্রায়ই হুমকি দিতো।
গত মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নুরুল নগরের সার্সন রোডে গ্রামার স্কুলের সামনে একা পেয়ে ইয়াছমিনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত ইয়াছমিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইয়াছমিন বর্তমানে মেডিকেলের ১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ঘটনার পর ইয়াছমিনের ভাই বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ঘটনায় জড়িত শরিফ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরো বলেন, নুরুল ঘটনার পরপরই বিদেশে পালিয়ে যায়। শরিফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনার সাথে জড়িত আরও কয়েকজনের নাম জানিয়েছে। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
শরিফ জানিয়েছে, সে এবং তারেক, মেহেদী ও তার এক বন্ধু হামলায় অংশ নেয়। নুরুল, শরীফ ও তারেক একই গ্রামের বাসিন্দা ও বন্ধু। মেহেদী নুরুল কাদেরের পরিচিত। হামলার জন্য মেহেদীকে নুরুল ৫ হাজার টাকা দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী নুরুল ইয়াছমিনকে তাদের সামনে নিয়ে আসে এবং হামলা করে। পরদিন নুরুল ওমানে চলে যায়।
ইয়াছমিনের ভাই শাহাদাত বলেন, ইয়াছমিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নগরের চকবাজার এলাকায় কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়। সার্সন রোড এলাকা দিয়েই আসা-যাওয়া করতো সে। গত মঙ্গলবার তাকে একা পেয়ে নুরুল কাদেরের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে তার ওপর হামলা চালায়। এখনো সে মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।
শাহাদাত আরও জানান, আমার বোনের সাথে নরুলের কোনো সর্ম্পক ছিল না। স্কুলে পড়ালেখা করার সময় থেকেই নুরুল ইয়াছমিনকে বিরক্ত করতো। তবে তা আমরা এতদিন জানতাম না। বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর সে আমাদের কথাগুলো জানায়।
এইচটি/সিআর